মিনি অকশনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স যখন পুরো দলই নতুনভাবে সাজানোর চিন্তা করছিল, ঠিক তখনই এক যুগের সঙ্গী আন্দ্রে রাসেল কে নিয়ে তৈরি হয় বড় পরিবর্তনের স্রোত। খেলোয়াড় হিসেবে পথচলা শেষ করলেও কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ফিরলেন তিনি, এবার দলের পাওয়ার হিটিং কোচের ভূমিকায়। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় , এমন একজন মূল্যবান খেলোয়াড়কে আদৌ কেন ছেড়ে দিতে হলো কলকাতাকে?
অধিকাংশের ধারণা ছিল পারফরম্যান্স বা ফিটনেসই মূল কারণ। তবে বাস্তব চিত্রটা একেবারে আলাদা। বড় নিলামের আগে পুরো দলটাকে নতুন করে গড়ে তোলার পরিকল্পনায় ছিল কলকাতা। আর এই পুনর্গঠনের ধাক্কায় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে, যেখানে রাসেলের মতো অপরিহার্য নামও বাদ যায় তালিকা থেকে।
ক্রিকবাজ জানিয়েছে, প্রথমে রাসেলকে ধরে রাখার পরিকল্পনাই ছিল কলকাতার। কিন্তু তাকে রাখলে নিলামের আগে হাতে থাকা ৬৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার বাজেট কমে দাঁড়াত ৪৬ কোটি ৩০ লাখে। এর মধ্যেই আসে বড় খবর , চেন্নাই সুপার কিংস ছেড়ে দিচ্ছে মাথিশা পাথিরানাকে, আর এতে তাদের হাতে বাড়তি থেকে যাবে ৪০ কোটির বেশি। অর্থাৎ নিলামে কলকাতার সামনে তৈরি হতো বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
ঠিক এই জায়গাতেই পাল্টে যায় কৌশল। দলে রাখার দ্বিতীয় ক্রিকেটার ছিলেন রাসেল। নিয়ম অনুযায়ী তাকে ছেড়ে দিলে ফিরে আসে ১৮ কোটি টাকা। অন্যদিকে চেন্নাই নামবে ৪৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার শক্তিশালী পুঁজি নিয়ে। এগিয়ে থাকতে তাই শেষ মুহূর্তে বাধ্য হয়েই রাসেলকে মুক্তির তালিকায় রাখে কলকাতা।
এখন নিলামে ব্যাটার ও অলরাউন্ডার ঘাটতি মেটাতে নজর থাকবে ক্যামেরন গ্রিন, জেমি স্মিথের মতো নামের দিকে। বড় টার্গেট ধরতে বড় বাজেট যে জরুরি, সেটাই মাথায় রেখেই এগোচ্ছে দলটি।
খেলোয়াড় হিসেবে অধ্যায় শেষ হলেও কলকাতার সঙ্গে রাসেলের নতুন গল্প শুরু হলো ডাগআউটে। এবার তিনি থাকবেন অভিজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে, শেখাবেন তরুণদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের মন্ত্র। মাঠে নয়, কিন্তু কলকাতার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাসেল থাকবেন ঠিক আগের মতোই।
