লঙ্কানদের কাছে ওয়ানডে সিরিজেও হার বাংলাদেশের

আসিথা ফার্নান্দোর ওভারে বোল্ড হয়ে ১৭ রানে ফিরেছেন ওপেনার তানজিদ তামিম।

তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৯৯ রানে হেরে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ। ২৮৬ রানের জয়ের টার্গেটে খেলতে নেমে ১০ ওভার দুই বল আগেই অর্থাৎ ৩৯ দশমিক চার ওভারে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

মূলত ব্যাটার ব্যর্থতার কারণেই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো মেহেদী মিরাজকে। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ১৭ রানে আসিথা ফার্নান্দোর ওভারে বোল্ড আউট হন। দলকে বিপদে ফেলে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্তও।

তৃতীয় ওভারে ইমন ও তাওহীদ হৃদয় দলীয় সংগ্রহকে ৬২তে নিয়ে যান। ২৮ রান করা ইমন আউট হওয়ার পর হৃদয়ের সাথে জুটি গড়েন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। কিন্তু ২৮ রানের বেশি তুলতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। বেশি সময় উইকেটে থিতু হতে পারেননি একসময় হার্ডহিটার খ্যাতি পাওয়া শামীম। আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ১২ রান করে।

৩২ দশমিক দুই ওভারে দলীয় ১৫৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর উইকেটে একমাত্র ভরসা হয়ে ছিলেন জাকের আলী অনিক। কিন্তু অন্য প্রান্তের কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। দলের নবম ব্যাটার হিসেবে ২৭ রান করে আউট হন জাকের আলী। এর পাঁচ বল পরেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে জয় এনে দেয়া তানভির ইসলাম ব্যক্তিগত ৮ রানে আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে লঙ্কানদের ছয় বোলার হাত ঘোরালেও উইকেট পেয়েছেন চারজন। এদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো ও দুষ্মন্থ চামিরা। আর দুটি করে উইকেট পেয়েছেন দুনিথ ওয়েল্লালাগে এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

এর আগে, পাল্লেকেলেতে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৮৫ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে হোচট খেলেও উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুশল মেন্ডিসের সেঞ্চুরি ও অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার হাফ সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৮৫ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিক দল।

লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২৪ রান করেন কুশল মেন্ডিজ। অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান। এছাড়া ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। শেষদিকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৪ বলে অপরাজিত ১৮ এবং দুশমন্থ চামীরা ৮ বলে অপরাজিত ১০ রান করে দলীয় সংগ্রহকে ২৮৫তে নিয়ে যান।

বাংলাদেশের পক্ষে পেসার তাসকিন আহমেদ ১০ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ২ এবং অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ ১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে দুই উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া পেসার তানজিম হাসান সাকিব ৬ ওভারে ৪১ রান দিয়ে, স্পিনার তানভির ইসলাম ১০ ওভাবে ৬১ রান দিয়ে এবং শামীম হোসাইন পাটওয়ারি জার ওভারে ৩০ রান দিয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

Exit mobile version