বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। এই জয় দিয়ে গেলো বারের ফাইনালে পরাজয়ের চার বছর পর সেই আক্ষেপ অনেকটাই মিটিয়েছে কিউইরা। যদিও ফাইনালে হারের আক্ষেট শুধু একটা জয় কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। এদিকে একযুগ পর বিশ্বকাপ খেলতে নেমে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরুর ইচ্ছা থাকলেও বড় ব্যবধানেই হেরে গেছে ডাচরা। তাই আগামী ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে বেশ জোরেসোরেই মাঠে নামতে চায় স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের দল।
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সোমবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে নেদারল্যান্ডস। শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফের মতো ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যালেক্স ফার্গুসনকে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত বাস ডি লিডিরা। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৮১ রানে পা ফসকে যায় ডাচদের। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কিউইদের বিপক্ষে নিজেদের সর্বস্ব দিয়েই লড়তে চায় নেদারল্যান্ডস।
১৯৯৬ সাল ছিলো নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ। সেবার টিম ডি লিডির বিশ্বকাপ অভিষেক ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের বড়োদরায়। আর ২০২৩ বিশ্বকাপে ছেলে বাস ডি লিডিও মাঠে নামলেন ভারতেই, অভিষেক ম্যাচে। শুধু তাই না প্রথম ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে ২০ বছর পর বাবার রেকর্ড ছুলেন বাস ডি লিডি।
বাস ডি লিডি বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে দলে ট্রেন্ট বোল্ট রয়েছেন। যাকে তুলনা করা হচ্ছে পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদির সাথে। আর ফার্গুসন হলেন হারিস রউফের আরেকটি নমুনা। আমরা আগের ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়েছি, আগামী ম্যাচে চেষ্টা করব সে অনুযায়ী ভালো করার।’
শুক্রবারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২৮৬ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান। ৪৯ ওভার ব্যাট করতে পারে তারা। এরপর নেদারল্যান্ডস পাল্টা ৪১ ওভারে ২০৫ রান করে অল আউট হয়ে যায়। জয়ের খাতা খোলা হয় পাকদের। যদিও নেদারল্যান্ডসের সাথে ছয় বারের মোকাবেলায় প্রতিবার জয় হয়েছে পাকিস্তান।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবারের টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ড শুধু যে জয় পেয়েছে এমনটা না। সেই সাথে অনেক রেকর্ডও গড়েছেন তারা। নিউজিল্যান্ডের তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে খেলতে নেমে মেইডেন সেঞ্চুরি হাঁকান রাচিন রবিন্দ্র। ১০ রানে নিউজিল্যান্ড ওপেনার উইলি ইয়াং আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবিন্দ্র ২৭৩ রানের জুটি গড়েন। এটা বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি।