তিনি কি ক্রিকেট ছেড়েছেন? নাকি ছাড়েন নি? এ নিয়ে বিস্তর লেখা হতে পারে। হয়ে যাবে গল্প উপন্যাসও। কত শত রসদ। ক্রিকেটই হয়তো এখনও তাঁকে ছাড়েনি। সেজন্যই এখনও মাঝে মাঝে দেখা যায় আগের মতো কলার উঁচিয়ে মাঠে নামতে। এমন ভঙ্গিমায় মাঠে নামতে কেবল তিনিই পারেন। তিনি পাগলাটে; তিনি খ্যাপাটে; তিনিই বাংলাদেশ। ডেভ ওয়াটমোরের ভাষায় ‘পাগলা।’ তিনি মাশরাফি। আমাদের মাশরাফি বিন মর্তুজা।
আজ ৫ অক্টোবর। এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের জন্মদিন। চিত্রা পাড়ের সবাই যাকে কৌশিক বলেই জানে। ১৮ বছর বয়সে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। হোঁচট খেতে খেতে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে যিনি বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক। বাংলাদেশের ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক’। দেশের ক্রিকেটকে অনন্য এক উচ্চতার পৌঁছে দেওয়ার পেছনের কারিগর এই মাশরাফি। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। খেলার পাশাপাশি তিনি এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিক। মাঠে ঘাটে ছুটে বেড়ান মানুষের কল্যাণে। দেশের ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় প্রেরণার নামের সঙ্গে সঙ্গে এখন বাংলাদেশের অপামর জনগোষ্ঠীর অনুপ্রেরণার নামও। কারণ নামটা যেন মাশরাফি।
ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিকের এ জন্মদিনে ‘মাশরাফি’ বইয়ের উপমাগুলোই বারবার মনে পড়ে যায় ‘টেস্টেতার এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেই। ওয়াসিম, ম্যাকগ্রার মতো শত শত উইকেট নেই তার। ব্রেটলি, শোয়েব আখতারের মতো গতিদানব নন তিনি। তাহলে তিনি কে? তিনি মাশরাফি বিন মুর্তজা। ক্রিকেটের পরিসংখ্যান, স্পিড গানের হিসাব দিয়ে যাকে চেনা যাবে না। কাগজ- কলম আর বই খুলে যাকে চিনতে পারবেন না। শুধু টেলিভিশন আর ছাপার অক্ষর যার পরিচয় দিতে পারবে না। ক্রিকেটার কেবল নয়; কোনো জাতির ইতিহাসে এমন মানুষই আসে শতবর্ষের আরাধনায়। মাশরাফি হলো গ্রিক ট্র্যাজেডি আর ভারতীয় রোমান্টিকতার মিশেলে এক মহাকাব্য। এমন মহাকাব্যকে ধরতে পারতেন মহাকবি হোমার বা মহাঋষি বেদব্যাস।’ শুভ জন্মদিন কৌশিক। শুভ জন্মদিন মাশরাফি।