পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে সাউথ আফ্রিকা নারী দল। জমজমাট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতলেও শেষ ম্যাচে হোচট খেতে হয়েছে সফরকারীদের।দাপুটে পারফর্মেন্সে শেষ ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তানের মেয়েরা। ম্যাচের পরে সংবাদ সম্মেলনে বোলারদের বন্দনা করতে ভোলেননি পাকিস্তান নারী দলের হেড কোচ মোহাম্মদ ওয়াসিম।
প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে সংগ্রহ করে ২৫৫ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৮.৩ ওভারেই ৮ উইকেট হাতে রেখে সহজ জয় পায়।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস চলাকালীন বৃষ্টির কারণে খেলা নেমে আসে ৪৬ ওভারে। নির্ধারিত ওভারে তারা ৩ উইকেটে তোলে ২৯২ রান। ডাকওয়ার্থ-লুইস (ডিএলএস) পদ্ধতিতে পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩১২ রান। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত লড়াই করলেও পাকিস্তান থেমে যায় ২৮৭ রানে। ফলে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নেয় প্রোটিয়ারা।
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দেখা যায় অন্য চিত্র। পাকিস্তানি বোলারদের আগুনে বোলিংয়ে ১১৫ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯ ওভার হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান নারী দলের কোচ মোহাম্মদ ওয়াসিম বলেন, “পাকিস্তানের পারফরম্যান্সে আমি মোটামুটি সন্তুষ্ট। ব্যাটাররা ভালো স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছে। প্রথম দুই ম্যাচে বোলিং প্রত্যাশামতো হয়নি, তবে শেষ ম্যাচের বোলিং নিঃসন্দেহে বোলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, আসন্ন নারী বিশ্বকাপে উইকেটের আচরণ অনেকটা একই রকম হতে পারে। তাই এই সিরিজ দলের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করছে। ওয়াসিম বিশেষভাবে চেজের সময় নার্ভ ধরে রেখে ম্যাচ শেষ করার দিকটিতে গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
ফাতেমা সানার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কোচ বলেন, “সে ফর্মে নেই, তবে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে ফিরে আসবে বলে আমি নিশ্চিত।”
