বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলে এবারের আসরে সর্বোচ্চ রানের ম্যাচ দেখলো সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ৩৭৬ রানের ম্যাচে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালকে ১০ রানে হারালো শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে আভিষ্কা ফার্নান্দোর ঝড়ো ৯১ রানের সুবাদে চার উইকেটে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। জবাবে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বরিশালকে।
বরিশালের বিপক্ষে বড় স্কোর গড়লেও দলীয় ১২ রানেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারিয়েছিলো চট্টগ্রাম। বেশি সময় টিকতে পারেননি ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুজ্জামানও। তখন হয়তো বরিশালের বোলাররা বুঝতে পারেননি তাদের সামনে কি অপেক্ষা করছে।
লঙ্কান ওপেনার আভিষ্কার ব্যাটে ঝড় ওঠার পর তামিম ইকবাল বার বার বোলার পাল্টিয়েও সেই ঝড় থামাতে পারেন নি। দলীয় ৯১ ও ১৫৯ রানে যথাক্রমে দুই ব্যাটার শাহাদাত ও নাজিবুল্লাহ জাদরান ফিরে গেলেও ফার্নান্দো সপাটে ব্যাট চালিয়ে গেছেন। এই সময় পাঁচ বাউন্ডারির বিপরীতে তার ব্যাটে এসেছে ছয় ছক্কার মার।
ফার্নান্দোকে যোগ্য সাহচার্য দিয়ে গেছেন শাহাদাত (৩১ রান), জাদরান (১৮ রান) ও দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভুত আইরিশ ক্রিকেটার কার্টিস ক্যাম্ফার (অপরাজিত ২৯ রান)।
১৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন বরিশালের দুই ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ও তামিম ইকবাল। মারকুটে শেহজাদ ১৭ বলে ৩৯ রান করে আউট হওয়ার পর তামিম-সৌম্য জুটি দলকে কাঙ্খিত লক্ষ্যেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কার্টিস ক্যাম্ফারের এক ওভারেই এই জুটি বিদায় নিলে চাপে পড়া বরিশালকে টেনি নিয়ে যাচ্ছেলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।
১৬ বলে ৩৫ রান করে বরিশালকে জয়ের আশা দেখিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু তার আউটের পর রানরেট বেড়ে যাওয়ার পর অন্যরা আর সুবিধা করতে পারেননি। মুশফিকও বিদায় নেন ২৩ রান করে। শেষ পর্যন্ত ১০ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফরচুন বরিশাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
টস: ফরচুন বরিশাল
চট্টগ্রাম: ১৯৩/৪ (ফার্নান্দো ৯১*, শাহাদাত ৩১, জাদরান ১৮ ও ক্যাম্ফার ২৯*)
বরিশাল: ১৮৩/৭ (শেহজাদ ৩৯, তামিম ৩৩, মুশফিক ২৩, মেহিদ মিরাজ ৩৫)
ফল: বরিশাল ১০ রানে জয়ী।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















