জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়ালো পাকিস্তান। বুলাওয়াতে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের দাপটে উড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে ডিএলএস পদ্ধতিতে ৮০ রানে হেরেছিল সফরকারী দল। জিম্বাবুয়ের করা ২০৫ রানের জাবে পাকিস্তান ২১ ওভারে ৬ উইকেটে ৬০ রান করেছিল।
সেই বুলাওয়াতেই দ্বিতীয় ম্যাচে পুরো উল্টো দৃশ্য। জিম্বাবুয়েকে দাঁড়াতেই দেয়নি মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। ১০ উইকেটের জয় নিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে। আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে ৩২.৩ ওভারে অল আউট হয়েছে ১৪৫ রানে। কোনো উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান ১০ উইকেটের জয় পেয়েছে।
বল হাতে পাকিস্তান যেমন স্বাগতিক দলকে ভুগিয়েছে তেমনি ব্যাট হাতেও। ওপেনার সাইম আইয়ুব একাই ব্যাট হাতে জিম্বাবুয়েকে নাস্তানাবুদ করেছেন। অন্যদিকে বল হাতে দুই স্পিনার আবরার আহমেদ ও আগা সালমান তাদেরকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছেন।
সাবেক ওপেনার শহীদ আফ্রিদির পর পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন আইয়ুব। ১১৩ রান করেছেন তিনি। খেলেছেন ৬২ বলে। তবে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে তার দরকার হয়েছিল ৫৩ বল। ইনিংসে মোট ১৭টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। ক্যারিয়ারে এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। তার এমন ব্যাটিং তাণ্ডবে সতীর্থ আবদুল্লাহ শফিককে দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে। ৪৮ বলে তার রান ৩২।
এর আগে টস জয়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে দাঁড়াতেই পারেনি জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। রান আউট হয়ে ফেরেন তাদিওয়ানাশে মারুমানি। ডিওন মায়ার্স ও অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। সেখানেও ব্যর্থ তারা। পাকিস্তানের বোলাররা তাদের কোনো ভালো জুটি গড়তে দেয়নি। আবরার ৮ ওভার বোলিং করে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। সালমান ৭ ওভারে ২৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। স্বাভাবিকভাবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাইম আইয়ুব।