বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন প্রায় এক বছর ধরে। ২০২৩ সালের আগস্টে ভারতের বিপক্ষে শেষবার জাতীয় দলে দেখা গেছে তাঁকে। এরপর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তার সাদা পোশাকের বিদায় ম্যাচটিও বাস্তবায়িত হয়নি।
জাতীয় দলের পারফরম্যান্স যখন প্রশ্নবিদ্ধ, তখন ক্রিকেট অঙ্গনে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে—সাকিবকে কি আবারও ফিরিয়ে আনা হবে? গেল সপ্তাহে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে (৫৮ রান ও ৪ উইকেট) সেই আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে।
বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু এর মাঝে বলেছিলেন, “সাকিবের জন্য জাতীয় দলের দরজা খোলা।” এ মন্তব্যের পর ভক্তদের মাঝে নতুন করে আশার সঞ্চার হলেও বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানালেন ভিন্ন বার্তা।
তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “সাকিবকে জাতীয় দলে ফেরানো নিয়ে বোর্ডে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। আমি অফিসিয়ালি এমন কিছু শুনিনি।”
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, “এই ধরনের আলোচনা গত দুই বছর ধরেই চলে আসছে। তবে বোর্ডের আলোচনার বাইরে কিছু ঘটলে আমি তা জানি না।”
অন্যদিকে, মিঠুর মতে, বর্তমান বোর্ড ক্রিকেট অপারেশন্স, নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। তাই সাকিবের বিষয়টি তাদের বিবেচনায় থাকলেও, এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
সব মিলিয়ে সাকিবের জাতীয় দলে ফেরা এখনো অনিশ্চিত। বিসিবির ভেতরে এখনও কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা বা আলোচনার সূত্রপাত হয়নি। ভক্তদের তাই আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
