সাকিবের পরকীয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন শিশির

আবারো আলোচনায় সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে সাকিবকে নিয়ে রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন বাংলাদেশ বিমানের একজন সাবেক কর্মী। বিষয়টা এতোটাই স্পর্শকাতর যে চুপ থাকতে পারেননি সাকিবপত্নী উম্মে আহমেদ শিশিরও। তিনি জানিয়েছেন, ১৩ বছর আগে অর্থাৎ বিয়ের আগে যেই সাকিবকে তিনি চিনতেন তিন সন্তান জন্মের পরও সে আগের মতোই আছেন।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই দেশ ছেড়ে সপরিবারে লন্ডন পাড়ি জমানো লোটাস কামালের মেয়ে ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামালের সাথে দেখা করতে লন্ডন উড়ে আসেন সাকিব। এই সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবিও ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিমানের সাবেক একজন কর্মী সাকিবকে নিয়ে দিলেন ভয়াবহ তথ্য। তার ভাষ্য মতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে অন্য নারীর সাথে রুম বুক করে সময় কাটিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই মুখ খুললেন সাকিবপত্নী উম্মে আহমেদ শিশির। ফেসবুকে নিজের ভ্যারিফাইড প্রোফাইল থেকে ইংরেজীতে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন,

‘আপনার হয়ত তাকে নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে, তা আমি অস্বীকার করব না। প্রত্যেকেরই বাক-স্বাধীনতা আছে। কিন্তু দয়া করে এটি আমাদের সম্পর্কের সঙ্গে মেশাবেন না। সে একজন অসাধারণ স্বামী এবং বাবা।’

তার প্রতি সাকিবের ভালোবাসার প্রমাণ রাখতে গিয়ে শিশির লিখেন, ‘সে সবসময়ই আমার প্রতি বিশ্বস্ত ও সৎ ছিল আর এমন কিছু করবে না, যা আমাকে আঘাত করে। সে এমনই একজন মানুষ, যে আমার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল।’

‘আমি তার বাইরে ঘোরাফেরা নিয়ে সবসময়ই জানি আর বেশিরভাগ সময় তার সাথেই থাকি। ১৩ বছর আগে আমি যে মানুষটির সাথে আলাপ হয়েছিল, সে এখনো সেই একই মানুষ আছে। জীবনসঙ্গী হিসেবে সে ১০০ তে ১০০ পাওয়ার মতোই। আর আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সুন্দর একটি পরিবার আছে।’

এরপরেই শিশির অনুরোধ জানান এসব গুঞ্জন না ছড়াতে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি বা ভিডিও পুরো ঘটনা বর্ণনা করে না। শিশিরের বক্তব্য, ‘যারাই এমন করছেন, তাদের প্রতি আমি বলতে চাই, এসব করে আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না। আমি চুপ থাকতে চাই কারণ সত্যটা আমার ভেতরেই আছে।’

‘কিন্তু কিছু অপ্রয়োজনীয় ফোনকল এবং মেসেজের কারণে আমি বিষয়টা পরিষ্কার করতে চেয়েছি। তার এখন পাকিস্তান সিরিজে নজর দেয়ার সময় আর আমি আমার পরিবারের দিকে নজর দেবো। আমরা সবসময়ই টিম হয়ে ছিলাম, আর তেমনই থাকব ইনশা আল্লাহ।’

Exit mobile version