বিপিএলের ১৯তম হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল চিটাগং কিংস ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। জমজমাট লড়াইয় শেষ শেষ হাসি হেসেছে চিটাগং কিংস। তাতে নিজেদের মাঠে বিপিএলের শেষ মাচে হোচট খেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। অথচ টুর্নামেন্টে হারের হ্যাটট্রিকের পর টানা দুই ম্যাচ জিতে দারুণ লড়াইয়ের আভাস দেয় স্বাগতিকরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩২ রানে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৭ রান করে বিদায় নেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ওসমান খান ও গ্রাহাম ক্লার্কের ব্যাট দলীয় শতক পূর্ণ করে চিটাগং। এরপর ওসমান খান ৫৩ রান করে বিদায় নিলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করে বিদায় নেন ক্লার্ক।
৩৩ বলে তিন বাউন্ডারি ৫ ছক্কায় এ রান করেন তিনি। অধিনায়ক মো: মিঠুন ২৮ রান করে বিদায় নেন। তবে শেষ দিকে ব্যাট হাতে কিংসের হয়ে ঝড় তোলেন হায়দার আলী। মাত্র ১৮ বলে চার বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় অপরাজিত ৪২ রান করেন। ফলে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৩ রানে থাকে কিংসরা।
বড় টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিক সিলেটের। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা দুই ওপেনার পল স্টালিং শুন্য ও রনি তালুকদার ৭ রান করে বিদায় নেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে জাকির হাসান ও জর্জ মুন্সি সিলটকে এগিয়ে নেন।
ভালো শুরুর পর জাকির ২৫ ও জর্জ মুন্সু দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর জাকের আলীর সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাক্তিগত ১২ রান করে বিদায় নেন সিলেটের ওপেনার আরিফুল হক। দলের বিপদে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন জাকের আলী। কিন্তু তারপরও কাজ হয়নি। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রানে থামে সিলেট স্ট্রাইকার্স। জাকের আলী ২৩ বলে তিন বাউন্ডারি ও চার ছক্কায় অপরাজিত ৪৭ রান করেন।
বল হাতে চিটাগংয়ে হয়ে মোহাম্মদ ওয়াশিম ৪ ওভারে ২৫ রানে নেন তিন উইকেট। এছাড়া আল ইসলাম নেন দুটি উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৩০ রানের জয়ে পয়েন্ট বিপিএলে শেষ চারের পথে এগিয়ে গেল চিটাগং কিংস। চার ম্যাচে তিন জয়ে বরিশালকে পেছনে ফেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে কিংসরা।
এক ম্যাচ বেশি খেলে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে বরিশাল। আর টানা ছয় পয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রংপুর রাইডার্স। আর সিলেট স্ট্রাইকার্স ছয় ম্যাচে দুই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে পাঁচেই অবস্থান করছে।