দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজে জয় করলেও টেস্ট ক্রিকেটে সেই আগের অবস্থায় পাকিস্তান। সেঞ্চুরিয়নে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে সফরকারী দলটি। শঙ্কা তৈরি হয়েছে সেই হারের সীমানায় ঢুকে যাওয়ার।
টেস্ট ক্রিকেটে লম্বা সময় দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে জয় পায়নি পাকিস্তান। ওয়ানডে সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইট ওয়াশ করায় এবার সেই জয় পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তারা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডার ব্যাটার করবিন বোসের দুর্দান্ত ব্যাটিং পাকিস্তানকে হতাশায় ডুবিয়েছে। ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও পাকিস্তানের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছিলেন। যার সুবাদে ২১৩ রান করতে দক্ষিণ আফ্রিকার ৮ উইকেট তুলে নিয়েছিল তারা। কিন্তু করবিনের চমৎকার ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ৩০১ রানে শেষ হয়। করবিনের ৮১ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৯০ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান অবশ্য সুবিধা করতে পারছে না। ৮৮ রান করতেই শীর্ষ তিন ব্যাটারকে হারিয়েছে তারা। সাইম আইয়ুব, অধিনায়ক শন মাসু, আর কামরান গুলাম আউট হয়েছেন। তাদের কেউ খুব বেশি অবদান রাখতে পারেননি। আইয়ুব ২৭, মাসুদ ২৮ ও গুলাম ৪ রানে আউট হয়েছেন। পাকিস্তানর সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ। প্রথম ইনিংসে ২ রানে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তানকে এখন টেনে নেওয়ার দায়িত্ব সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমের কাঁধে। প্রথম ইনিংসে ৪ রানে আউট হওয়া বাবর আজমের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তার শুরুটা পাকিস্তান শিবিরে স্বস্তি এনে দিয়েছে। ১৬ রানে অপরাজিত তিনি। সঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে রয়েছেন সৌদ শাকিল।
করবিন বোস বল হাতে পাকিস্তানকে যথেষ্ঠ ভুগিয়েছিলেন। নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। আর ব্যাট হাতে তো পাকিস্তানের স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছেন। অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন। মাত্র ৯৩ রানে করেছেন ৮১ রান। ইনিংসের শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন তিনি। ১৫টি বাউন্ডারিতে সাজিয়েছেন ইনিংসটি।
পাকিস্তানের সফল বোলার ছিলেন খুররাম শাহজাদ ও নাসিম শাহ। উভয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।