শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড জয় পেয়েছে ৫ উইকেটে। আর তাতেই পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে আসার পাশাপাশি সেমিফাইনালে খেলাটা অনেকটাই নিশ্চিত করে নিয়েছে গত দুই আসরের ফাইনালিস্টরা। ৯ ম্যাচ থেকে পাঁচ জয় পাওয়া কিউইদের সংগ্রহ এখন ১০ পয়েন্ট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তান জয় পেলে তাদের পয়েন্ট হবে ১০। সেক্ষেত্রে রানরেটে কিউইদের পিছনে ফেলতে হবে পাকিস্তানকে।
আট পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে থাকা পাকিস্তান গ্রুপে তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে আগে ব্যাট করলে পাকিস্তানকে জয় পেতে হবে ২৮৭ রানে। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে যদি ৩০০ রান করতে সমর্থ হয় তবে ইংল্যান্ডকে ১৩ রানের মধ্যে অলআউট করতে হবে।
আর পাকিস্তান যদি পরে ব্যাটিং করে তাহলে তাদের জিততে হবে ২৮৪ বল হাতে রেখে। যেমন আগে ব্যাট করে ৫০ রানে অলআউট হতে হবে ইংল্যান্ডকে। আর পাকিস্তানকে সেই রান টপকাতে হবে ২.৪ ওভারের মধ্যে।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয়া যায় ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার পর চতুর্থ দল হিসেবে এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। কেননা পাকিস্তানের সামনে সেমিফাইনালের দরজা খোলা থাকলেও কঠিন সমীকরণ পার হওয়া আরও কঠিন। চরম আশাবাদী মানুষও হয়তো বাজি ধরতে পারবেন না পাকিস্তানের পক্ষে।
১১ নভেম্বর কোলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে প্রথম বা দ্বিতীয় ইনিংসে যখনই পাকিস্তান খেলতে নামুক না কেন তাদেরকে কঠিন সমীকরণ মাথায় রেখেই খেলতে হবে।
এদিকে এবারের আসরে টানা ৮ ম্যাচজয়ী ভারত ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে টেবিলের চারে থাকা দল। আপাতত নিউজিল্যান্ডই আছে চারে। পাকিস্তান যদি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধ্য সাধন করতে পারে তবে সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাবর আজমের দল।
টেলিভিশন প্রচারের স্বত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান নিশ্চয়ই ভারত-পাকিস্তানের সেমিফাইনালই দেখতে চায়। কিন্তু সে চাওয়া অন্তত এই বিশ্বকাপে আর পূরণ হওয়ার নয়।
