বিপিএলের সবচেয়ে বড় হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই হট ফেবারিট ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্স। আসরের শ্রেষ্ঠত্বের লড়ায়ে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শেষ ওভারে ঝড় তুলে ৩০ রান তোলেন নুরুল হাসান সোহান। তাতে ৩ উইকেটে জয় পায় রংপুর।
বরিশালের দেয়ার ১৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০২ রান তোলে রংপুর রাইডার্স। এদিন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করে তামিমের বরিশাল। ক্যাপ্টেন তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে ঝড় তোলার আভাস দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দুজনই অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে বিদায় নেন।
তারা দুজনে ওপেনিং জুটিতে ১০.১ ওভারে ৮১ রান তোলে। এরপর শান্ত ৩০ বলে ৪১ ও তামিম ৩৪ বলে ৪০ রান করে বিদায় নেন। তবে এর মাঝেই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৮ হাজারের ক্লাবে পৌঁছৈ যায় তামিম ইকবাল খান।
মর্যদার এই লড়াইয়ে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ। হৃদয় ২৩ ও মাহমুদউল্লাহ ২ রান করে বিদায় নেন। দুই সতীর্থকে হারিয়ে বিরিশালকে একাই টেনে তোলেন কাইল মায়ার্স। এসময় তাকে ঝড়ো সঙ্গ দেন ফাহিম আশরাফ।
পাকিস্তানের এই ব্যাটার ৩শ ৩৩ স্টাইরেটে ব্যাটিং করে মাত্র ৬ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন। ততক্ষণে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন কাইল মায়ার্স। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬১ রানে মায়ার্স। তার ২৯ বলের ঝড়ো ইনিংসে এক বাউন্ডারি ও সাত ছক্কার রয়েছে। ফলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে বরিশাল গিয়ে থামে ১৯৭ রানে।
জবাবে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। দলীয় ৬৬ রানে তিন ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে আসরে উড়তে থাকা সোহানের দল। বিপিএলে সেঞ্চুরি পাওয়া অ্যালেক্স হেলস ১,সাইফ হাসান ২২ ও তৌফিক খান ৩৮ রান করে বিদায় নেন।
বরিশালের শিবিরে তখন জয়ের উল্লাস। কিন্তু তখনও উইকেটে পাকিস্তানের দুই মারকুটে ব্যাটার ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ৫৩ বলে ৯১ রান তোলেন তারা। তাদের শক্ত জুটিতে রংপুর শিবিরে তখন উল্লাস।
বরিশালের অধিনায়ক তামিম তখন বল তুলে দেন দুই পাকিস্তানী শাহিন শাহ আফ্রিদী ও জাহানদাদ খানের হাতে। আর তাতেই পরিকল্পনায় সফল। দলীয় ১৫৭ রানের মাথায় ইফতেখারকে বিদায় করেন আফ্রিদী। ৩৬ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি।
এরপর জাহানদাদ খান বিদায় করেন ঝড়ো ব্যাটার খুশদিল শাহকে! বরিশালের এই ঝড়ো ব্যাটার ২৪ বলে দুই বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৪৮ রান করে বিদায় নেন। এরপর মেহেদী ও সাইফউদ্দি শুন্য রানে বিদায় নেন।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। উইকেটে তখন অধিনায়ক নুরুল হাসান। দলের প্রয়োজনে ইতিহাস গড়ে শেষ ওভারে ব্যাটিংয়ে তান্ডব চালিয়ে তোলেন ৩০ রান। অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে মাত্র ৭ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪শ ৫৭ স্টাইক রেটে অপরাজিত ৩২ রান করেন।