ধর্মশালার উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জারদানের ব্যাটিংয়ে এমন প্রশ্ন তৈরি হয়েছিলো বাংলাদেশ কি ভুল করলো আগে ফিল্ডিং নিয়ে।
তাসকিন, শরিফুল ও মুস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম ছয় ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৩২ রান তোলা আফগানিস্তান ৭ম ওভারে বোলিংয়ে আসা সাকিব আল হাসানকেও সহজে খেলছিলো। কিন্তু ইনিংসের নবম ওভারে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। ২২ রান করা ইব্রাহিম জারদানকে তানজিদ হাসানের ক্যাচ বানান সাকিব আল হাসান।
ওয়ান ডাউনে নামা রহমত শাহকে নিয়ে ডেঞ্জারম্যান রহমানুল্লাহ অনায়াসেই খেলছিলেন টাইগার বোলারদের। আবার এগিয়ে এলেন সাকিব। ১৬তম ওভারে এবার ১৮ রান করা রহমত শাহকে ফেরান টাইগার অধিনায়ক। সামনে থেকে নেতৃত্ব নেয়া সাকিবে উজ্জীবিত বাংলাদেশ বোলারদের এবার নতুন করে আফগানদের ওপর চড়াও হওয়ার দৃশ্য দেখার পালা শুরু। দলীয় ১১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে রীতিমতো দিশেহারা আফগান শিবির। মেহেদি মিরাজের বলে ১৮ রান করা আফগান অধিনায়ক শহিদী ফিরে যাওয়ার পর উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান গুরবাজকে ফেরান পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
মূলত এখানেই শেষ হয়ে দলটার সব প্রতিরোধ। পরের গল্পটা শুধুই তাদের আসা যাওয়ার। আজমাতুল্লাহ ওমরজাই একপ্রান্ত আগলে ২২ রান করে ইনিংস এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শরিফুলে থামতে হয় তাকে। দলের ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার সময় আফগানদের দলীয় সংগ্রহ ছিলো ১৫৬। পরের দুই ওভারে দুই ব্যাটসম্যান বিদায় নিলেও দলীয় সংগ্রহে আর কোন রান যোগ হয়নি তাদের। এদিন বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্পিনাররা। সাকিব-মিরাজ নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। পেসারদের মধ্যে শরিফুল নিয়েছেন দুই উইকেট। আর একটি করে শিকার অপর দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের। এদিন এক ওভার হাত ঘুরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। দিয়েছেন ৭ রান। ছিলেন উইকেট শূন্য।