স্পিন জাদুতে সিরিজ পাকিস্তানের

ত্রিদেশীয় সিরিজ

সিরিজজয়ী পাকিস্তান দল

কামিল মিশ্রর অসাধারণ ব্যাটিং পাকিস্তানে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল সফরকারীদের। কিন্তু স্বাগতিক দলের স্পিন আক্রমণে সেই স্বপ্ন মিইয়ে যায়। তাদেরকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তান সিরিজ জয় করেছে।

কামিল মিশ্র’র চমৎকার ব্যাটিংয়ে সত্ত্বেও পাকিস্তানের স্পিন আক্রমণে ১৯.১ ওভারে ১১৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল নাটকীয় জয়ে ফাইনালে পৌঁছানো শ্রীলঙ্কা। ৮ বল হাতে রেখে পাকিস্তান সেই রান টপকে সিরিজ জয় করেছে।

ম্যাচ শুরুর আগে উভয় দলের অধিনায়ক জয়ের জন্য ১৬০ রান যথেষ্ঠ বলে জানিয়েছিলেন। কামিল মিশ্র’র ব্যাটিংয়ে সেই পথে এগুচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। এক উইকেট হারিয়ে একাদশতম ওভারে তারা স্কোরবোর্ডে ৮৪ রান জমা করেছিল। ১৪তম ওভারে এই ওপেনার আউট হলে শ্রীলঙ্কার ইনিংস হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে। পরের সাত ব্যাটারের কেউ তাদের ব্যক্তিগত রানকে দুই অংকে নিতে পারেননি। মাত্র ১৬ রানে তাদের শেষ আট উইকেটের পতন হয়। মোহাম্মদ নাওয়াজ, আবরার আহমেদ, শাহীন শাহ আফ্রিদ এক ঝটকায় শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দেন।

নাওয়াজ ৪ ওভারে ১৭ রানে পেয়েছেন তিন উইকেট। ম্যাচ সেরার পাশাপাশি সিরিজ সেরাও হয়েছেন তিনি। আফ্রিদির শিকার সংখ্যা তিন, আবরারের বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কা হারায় দুই উইকেট।

লক্ষ্যটা সহজ মনে হলেও এই রান টপকে জয় পেতে তাদেরকে খেলতে হয়েছে ১৮.৪ ওভার পর্যন্ত। তবে জয় নিয়ে খুব একটা দুঃশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি তাদের। সাহেবজাদা ফারহান, সায়েম আইয়ুব, বাবর আজমের ব্যাটিং দলকে জয় এনে দেয়। ৩৪ বলে ৩৭ রান করে বাবর ছিলেন সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। সায়েম আইয়ুব খেলেছেন ৩৬ রানের ইনিংস। আর ফারহানের সংগ্রহ ছিল ২৩।

শুরুতে বাবর নিজেকে একটু গুটিয়ে রাখলেও ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হয় তিনি। ৩৪ বলে ৩৭ রান করতে একটা ওভার বাউন্ডারি ও জোড়া বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা:
১১৪/১০ (১৯.১ ওভার)। (কামিল মিশ্র ৫৯, কুশাল মেন্ডিস ১৪, পাথুম নিশাঙ্কা ১১; মোহাম্মদ নাওয়াজ ৩/১৭, শাহীন আফ্রিদি ৩/১৮, আবরার আহমেদ ২/১৮)।

পাকিস্তান: ১১৮/৪ (১৮.৪ ওভার)। (বাবর আজম ৩৭, সাহেবজাদা ২৩, সায়েম ৩৬; পাবন রত্নায়েকে ২/১১)।

ফল: পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী।

Exit mobile version