টুর্নামেন্ট শুরুর পর তৃতীয় ম্যাচ ডে’তে সর্বোচ্চ রানের স্কোর দেখলো এবারের বিপিএল। হাইস্কোরিং ম্যাচটায় ফরচুন বরিশালকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারালো খুলনা টাইগার্স।
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে চার উইকেটে ১৮৭ রান তোলে বরিশাল। জবাবে ১৮ ওভারে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় এনামুল হক বিজয়ের দল।
তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ’র সমন্বয়ে গড়া বরিশাল টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে হোচট খেলেও তামিমের ৪০, মুশফিকুর রহিমের ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৮ ও মাহমুদুল্লাহর ২৭ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৭ রানের সংগ্রহ পায়। খুলনার পক্ষে একটি করে উইকেট নেন ক্যারিবীয় বোলার ওশানে থমাস ও দুই দেশীয় রিক্রুট নাসুম আহমেদ ও মুকিদুল ইসলাম।
তীব্র শীতের রাতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত স্বল্প সংখ্যক খেলাপাগল দর্শক হয়তো রংপুর রাইডার্সকে হারানো ফরচুন বরিশালের সহজ জয় ধরে নিয়েছিলেন। কেননা টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় রানের স্কোর গড়েছে তামিমের দল। তাদের ভাবনার জগৎটা ওলটপালট করে দিয়ে শুরু থেকেই তান্ডব চালাতে থাকেন খুলনার দুই ওপেনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও ক্যারিবীয় ব্যাটার এভিন লুইস।
৪৪ বলে দলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬৩ রানে অপরাজিত থাকা বিজয়ের চেয়ে লুইসের ব্যাটিংটা ছিলো দানবীয়। সমান পাঁচটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কা হাকানো লুইসের ব্যাটে এসেছে ২২ বলে ৫৩ রান। তার আউটে সময় খুলনার রান ছিলো পাঁচ ওভার তিন বলে ৭৭ রান।
এর পর ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা আফিফ হোসেনের সাথে আরও একটা বড় পার্টনারশিপ গড়েন বিজয়। ৩৬ বলে ৪১ রানে আফিফ আউটের সময় দলটার সংগ্রহ ছিলো ১৫২ রান। তৃতীয় উইকেটে আরেক ক্যারিবীয় ব্যাটার শাই হোপের সাথে জুটি গড়ে দলকে সহজ জয় এনে দেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। তিনটি করে চার ও ছক্কার মার ছিলো বিজয়ের ব্যাটিংয়ে।
খুলনার ব্যাটারদের আটকাতে বরিশাল এই ম্যাচে সাত বোলারকে কাজে লাগিয়েছে। কিন্তু একমাত্র পাকিস্তানী পেসার মোহাম্মদ ইমরান ছাড়া আর কেউই সুবিধা করতে পারেন নি। অবশ্য দুই উইকেট পেলেও তিন ওভারে ৩৫ রান দিয়েছেন পাকিস্তানের সুইজারল্যান্ডখ্যাত সোয়াত উপত্যাকায় জন্ম নেয়অ এই পেসার।