আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপার লড়াইয়ে রোববার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। দুবাইয়ে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ৩টায়। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ২৫ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চায় নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সেরা তাররা উইল ইয়াং। ২০০০ সালে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে ভারতকে হারিয়ে যখন নিউজিল্যান্ড শিরোপা জিতেছিল তখন উইল ইয়াংরে বয়স তখন আট।
সবে ক্রিকেটের প্রেমে সবে পড়তে শুরু করেছেন তিনি। নাইরোবিতে ২০০০ সালের আসরের ফাইনালে অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সেঞ্চুরিতে ভারতকে হারায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এরপর ২০০৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০১৫ ও ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড।
প্রতিবারই শিরোপার স্বপ্ন ভঙ্গ। তাই দুই যুগেরও বেশি সময় পর আরেকটি ফাইনালের আগে ইয়াং ফিরে গেলেন তার সেই ছেলেবেলার স্মৃতিতে।
ফাইনাল নিয়ে তিনি বলেন,‘ওই স্কোয়াডে আইকনিক কিছু ক্রিকেটার ছিলেন এবং এখনকার দলের অনেকেই ওই ক্রিকেটারদের আদর্শ মেনেই বেড়ে উঠেছে। ২৫ বছর পর সেই কীর্তির পুনরাবৃত্তি করার সুযোগ পাওয়াটা দারুণ।’
এছাড়া তিনি বলেন,‘আমার বয়স তখন ছিল আট বছর, সবে খেলাটির ভালোবাসায় পড়তে শুরু করেছিলাম। ওই টুর্নামেন্টে নিউ জিল্যান্ড যেভাবে রাজত্ব করেছিল, তা ভালোভাবেই মনে আছে। তাদেরকে জিততে দেখাটা ছিল দারুণ ব্যাপার।’
নিজেরাও সেই প্রাপ্তির আনন্দে ডুব দিতে চান। শুধু সেই স্মৃতির রোমন্থন নয়, নিজেরাও দেশক উপহার দিতে চান সেই সোনালি সাফল্য। তার ভাষায়,‘দেশ ছাড়ার সময় প্লেনে ওঠার আগে ওই সময়টার কথা ভাবছিলাম আমি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড ঘোষণার দিন স্কট স্টাইরাস (সেবারের জয়ী দলের অলরাউন্ডার) ছিলেন। ওই দলের এবং টুর্নামেন্টে তাদের পারফরম্যান্সের কিছু গল্প শুনেয়েছিলেন তিনি। অতীতকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারটি ভালো। নিউ জিল্যান্ড আগেও কাজটা করেছে (চ্যাম্পিয়ন হয়েছে)। এখন ব্যাপারটা হলো সেই ধারা ধরে রাখার। আশা করি, দিন দুয়েকের মধ্যে আমরাও কাজটি করতে পারব।’
এছাড়া তিনি বলেন,‘আমরা চেষ্টা করব মানিয়ে নিতে এবং রোববার আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ যেটাই আসুক, আশা করি আমরা নিজেতের খেলা মেলে ধরব ও স্নায়ুর চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।’
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















