একদিকে সর্বাধিক বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, অন্যদিকে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। উভয় দলের লক্ষ্য জয়। সেমিফাইনালে ওঠার পথ পরিষ্কার করতে অস্ট্রেলিয়ার জয় চাই। আর ইংল্যান্ডের জয়ের দরকার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার টিকিট পেতে। আহমেদাবাদে শুরু হওয়া এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া সব উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করেছে। তিন বল বাকি থাকতে অল আউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ডের আমন্ত্রণে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় অস্ট্রেলিয়া। তাবে তাদের শুরুটা ভালো ছিল না ৩৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনার বিদায় নিলে বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু স্টিভ স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন তৃতীয় উইকেট জুটিতে দারুণভাবে বিপর্যয়ের বিপক্ষে রুখে দাঁড়ান। তাদের চমৎকার ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া সমৃদ্ধ স্কোর দাঁড় করায়।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে স্মিথ ও লাবুশেন ৭৫ রান যোগ করে। আদিল রশিদ এ জুটিতে ভাঙ্গন ধরান। তার বলে মঈন আলীর হাতে ধরা পড়েন স্মিথ। ৫২ বলে ৪৪ রানের মূল্যবান এক ইনিংস উপহার দেন তিনি। স্মিথের পরপরই নতুন ব্যাটার জন ইংলিশ আউট হয়ে যান। বোলার ও ফিল্ডার একই কম্বিনেশন। অর্থাৎ আদিল রশিদ বোলার মঈন আলী ফিল্ডার।
দ্রুত এই দুই উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়াকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পরের ব্যাটাররা দারুণ করেছেন। ক্যামেরন গ্রিনের সঙ্গে লাবুশেন ৬১ রানের জুটি গড়েন। লাবুশেন ৮৩ বলে ৭১ রানের দূর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন। সাতটি বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। গ্রিন করেছিলেন ৫২ বলে ৪৭ রান।
তবে ব্যাট হাতে ছোট্ট কিন্তু কার্যকরী ঝড় তুলেছিলেন মার্কাস স্টয়নিস ও অ্যাডাম জাম্পা। স্টয়নিস ৩২ বলে ৩৫ এবং জাম্পা ১৯ বলে ২৯ রান করেন।
ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ছিলেন সফল বোলার। ৯.৩ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া মার্ক উড নিয়েছিলেন দুই উইকেট। তবে সবচেয়ে কৃপণতা দেখিয়েছেন আদিল রশিদ। ৩৮ রানে নেন ২ উইকেট।