টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতলো বাংলাদেশ। ১২৫ রানের টার্গেটে তাওহিদ হৃদয়ের ঝড়ো ৪০, লিটন দাসের ধৈর্যশীল ১৬ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান ছয় বল হাতে রেখে বাংলাদেশকে ২ উইকেটের জয় এনে দেয়।
স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১২৪/৯ ও বাংলাদেশ ১২৫/৮
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করলেও পরের দিকে বাংলাদেশী বোলারদের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে লঙ্কান ব্যাটাররা। একমাত্র সাকিব আল হাসান তিন ওভারে ৩০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। এর বাইরে দাপট দেখিয়েছেন সব টাইগার বোলারই।
স্পিনার রিশাদ হোসেন বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে চার ওভারে ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। সমান তিন উইকেট পাওয়া মোস্তাফিজ চার ওভারে দিয়েছেন ১৭ রান। ২৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ২৪ রানে এক উইকেট পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।
লঙ্কানদের পক্ষে ২৮ বলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন পাথুম নিশাঙ্কা। এছাড়া ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ২১, চারিথ আসালাঙ্কা ১৯ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ১৬ রান করেন।
জবাবে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য রানে আউট হন সৌম্য সরকার। বাংলাদেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে পরের ওভারেই ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ষষ্ঠ ওভারে গিয়ে ব্যক্তিগত ৭ রান করে আউট হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
২৮ রানে তিন উইকেট হারানোর পর তাওহিদ হৃদয়ে এসে উইকেটে ঝড় তোলেন। চার ছক্কা ও এক বাউন্ডারিতে দলীয় সংগ্রহকে ৯১ রানে নিয়ে যান হৃদয়। ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় মারকুটে এই ব্যাটারের নামের পাশে ছিলো ২০ বলে ৪০ রান।
দলের জয়টা যখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিলো তখন ২২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে উল্টো চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। ১৮তম ওভারে পর পর দুই বলে রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদের উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন লঙ্কান বোলার নুয়ান তুষারা।
নবম ব্যাটার হিসেবে খেলতে নেমে তানজিম সাকিব শুধু বিপর্যয়ই ঠেকান নি। মাহমুদুল্লার সঙ্গী হয়ে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ১৮তম ওভার শেষে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলো ১২ বলে ১১ রান।
১৯তম ওভারের শুরুতেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ছক্কায় জয়টা বাংলাদেশের নাগালে চলে আসে। এই ওভারের শেষ বলে ডাবলসে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
আগামী সোমবার (১০ জুন) নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপরই শান্ত বাহিনীকে যেতে হবে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে।
সেখানে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস ও ১৬ জুন নেপালের বিপক্ষে খেলতে হবে গ্রুপের তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচ।