আইসিসি ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে এখনও প্রায় দুই বছরের বেশি সময় বাকি। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আফ্রিকা মহাদেশের আরও দুই দেশ জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। ১৪ দলের এবারের আসরে মোট ম্যাচের সংখ্যা ৫৪টি।
তবে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৪তম আসরের ভেন্যু ও সূচি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে হবে এবারের আসর। দক্ষিণ আফ্রিকা একাই আয়োজন করবে ৪৪টি ম্যাচ। বাকি ১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায়।
এবার দক্ষিণ আফ্রিকার ৮টি শহর বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ভেন্যুগুলো হলো–জোহানেসবার্গ, প্রিটোরিয়া, কেপটাউন, ডারবান, গিকেবারহা (পূর্বতন পোর্ট এলিজাবেথ), ব্লুমফন্টেইন, ইস্ট লন্ডন ও পার্ল। এই টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন করতে গঠিত হয়েছে লোকাল অর্গানাইজিং কমিটি বোর্ড (এলওসিএ), যার চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক মন্ত্রী ট্রেভর ম্যানুয়েল।
সিএসএ চেয়ারম্যান পার্ল মাফোশে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি বৈশ্বিক আসর আয়োজন করা যা দক্ষিণ আফ্রিকার বহুমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ঐক্যবদ্ধ চেহারা বিশ্বকে দেখাবে। এটি হবে ভিন্ন আবহের একটি টুর্নামেন্ট, যা খেলোয়াড় ও দর্শক সবার জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
আসরের ফরম্যাট: ২০২৭ বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ১৪ দল দুটি গ্রুপে ভাগ লড়বে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ তিন দল যাবে সুপার সিক্স পর্বে। এই ফরম্যাট ২০০৩ বিশ্বকাপেও ব্যবহার হয়েছিল।
স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া ৩১ মার্চ ২০২৭ পর্যন্ত আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ আট দল সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। আয়োজক হলেও নামিবিয়া যেহেতু আইসিসির পূর্ণ সদস্য নয়, তাই তাদেরকে বাছাইপর্ব খেলতে হবে।
এর আগে ২০০৩ সালে শেষবার আফ্রিকা মহাদেশ ওয়ানদে বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছিল। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল কেনিয়া। সেই আসরের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া।