নেটদুনিয়ায় হাস্যরসের ঝড়
আশপাশের যেখানেই যাই হোক না কেন, দুনিয়ার সব দোষ জাকের আলীর ঘাড়ে! ক্রিকেট হোক কিংবা ফুটবল! যেকোনো স্পোর্টস বা টপিকেই ইদানীং জাকের আলী অনিকের নাম টেনে এনে তাকে ট্রল করার ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে।
সম্প্রতি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অফিসিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে টিম ডেভিডের হাকানো এক বিশাল ছক্কার রিল পোস্ট করা হয়। তবে সেখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় কমেন্টটা ছিল “One day Zaker Ali will hit 229 meter six” যা অর্থ দাঁড়ায় – “একদিন জাকের আলীও ২২৯ মিটারের ছয় মারবে।”

যদিও এই কমেন্টের সাথে রিলের কনটেক্সটের কোনো মিল নেই। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বেলেরিভ ওভালে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি চলছিল। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে টিম অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে অক্ষর প্যাটেলের করা সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে বোলারের মাথার উপর দিয়ে বিশাল এক ছক্কা হাকান টিম ডেভিড। সেই ছক্কার দৈর্ঘ্য ছিল ১২৯ মিটার। সাধারণত ক্রিকেটে এত বড় ছক্কা দেখা যায় না। স্বভাবতই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ফেসবুক পেজে এই স্পেশাল মুহূর্তের ভিডিও আপলোড করা হয়।

কমেন্ট সেকশনে ট্রল
তবে এই ভিডিওর সাথে কোথাও বাংলাদেশ বা জাকের আলীর সম্পর্ক নেই। তারপরও কমেন্ট সেকশনে তাকে টেনে এনেই ট্রল করতে দেখা যায় নেটিজেনদের। আর সেই কমেন্টটাই ছিল এই কমেন্ট বক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমেন্ট। এই কমেন্টেই ছিল প্রায় ৩১০ এর মতো রিয়্যাকশন! যা এই ভিডিওটার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রিয়্যাকশন পাওয়া কমেন্ট।
এমন সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়ালের পিছনে জাকের আলীর সাম্প্রতিক ব্যাটিং পারফরম্যান্সকে দায়ী করছে অনেকে! জাকের আলীর ফর্মটা সেই এশিয়া কাপ থেকেই খারাপ যাচ্ছে। এশিয়া কাপে ৬ ইনিংসে জাকের আলী করেছিলেন ৭১ রান। সেখানে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৭। আফগানিস্তানের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেছিলেন তিন ম্যাচই। সে সিরিজে ৩ ইনিংসে ১১১ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন মোটে ৪৮ রান।
তবে আফগানিস্তানের সাথে ওয়ানডে সিরিজে তার পারফরম্যান্স ছিল সবচেয়ে হতাশাজনক। সেখানে দুই ইনিংসে মাত্র ৪৭ স্ট্রাইক রেটে করেন ২৮ রান। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে করেছেন মোটে ২২ রান।
তাই বলাই যায়, সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছেনা জাকের আলীর।
অধিকাংশ ক্রিকেটারই ক্যারিয়ারের কোনো একটা জায়গায় এসে ছন্দ হারিয়ে ফেলে। এটা স্পোর্টসের চিরন্তন সত্য এক ঘটনা। জাকেরের ক্ষেত্রেও হয়তো সেই সময়টাই চলছে।
তবে এমন বাজে সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেই আবার জাতীয় দলে ফেরে ক্রিকেটাররা। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট কালচারে এই জিনিসটা খুব একটা দেখা যায় না। এই কালচারের জন্যই হয়তো সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়ালে পড়তে হয় জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















