এক সেঞ্চুরিতেই ৫০ লাখে হাবিবুর! অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আলো ছড়াচ্ছেন তরুণ ক্রিকেটার হাবিবুর রহমান। সর্বশেষ এশিয়া কাপেই তিনি সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন। রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলে দেশের হয়ে দ্রততম ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি।
যার প্রভাব পড়েছে বিপিএলে। ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলাম অনেকটা লটারির মতো। কখন কার দাম হঠাৎ বেড়ে যায়, আবার কখন কেউ দলই পান না- তার বলা কঠিন। তবু কিছু ক্ষেত্রে আন্দাজ করা যায়। এবারের বিপিএল নিলামে যেমনটা হয়েছিল হাবিবুর রহমানকে নিয়ে।
এশিয়া কাপের পরই ধারণা ছিল, তিনি ভালো দামে বিক্রি হতে পারেন। কাল নিলামে সেটাই হলো। ‘ডি’ক্যাটাগরিতে থাকা এই ক্রিকেটারকে নোয়াখালী এক্সপ্রেস কিনেছে ৫০ লাখ টাকায়, যেখানে তাঁর ভিত্তিমূল্য ছিল মাত্র ১৮ লাখ।
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে হংকং চায়নার বিপক্ষে করেছিলেন মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি। সেটি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। এর আগে রেকর্ড ছিল পারভেজ হোসেনের। ২০২০ সালের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের হয়ে ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে হাবিবুর খেলেন ৬৫ রানের ইনিংস। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টের ৫ ম্যাচে করেন ২২৮ রান। গড় ছিল ৫৭। তবে সবচেয়ে চোখে পড়েছিল তাঁর স্ট্রাইকরেট-১৮২.৪০। মেরেছিলেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১টি ছক্কা।
এই এশিয়া কাপের আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টি লিগেও ঝড় তুলেছিলেন তিনি। ৭ ম্যাচে ২১৮ রান করে হয়েছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। স্ট্রাইকরেট ছিল ১৮৩.১৯। ছক্কা মেরেছিলেন ১৫টি, যা টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ছিল মাহমুদুল হাসানের-২১টি।
২০২৪ সালের এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও পারফর্ম করেছেন হাবিবুর। সেবার ১৭ ছক্কায় ২৫৯ রান করেন ১৬০.৮৬ স্ট্রাইকরেটে। অর্থাত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোতে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছেন তিনি। তবে বিপিএলে তাঁর রেকর্ড খুব ভালো নয়। ১৪ ম্যাচে করেছেন মাত্র ১২৮ রান। সর্বশেষ তিন আসরেই খেলেছেন, কিন্তু এখনো এই টুর্নামেন্টে নিজের জায়গা শক্ত করতে পারেননি।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















