আগামী অক্টোবরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নির্বাচন। সেখানে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে তার লক্ষ্য কেবল পরিচালক পদে সীমাবদ্ধ নয়। পর্যাপ্ত সমর্থন পেলে বিসিবির সভাপতি হিসেবেও নির্বাচনে লড়তে চান দেশের অন্যতম সেরা এই ওপেনার।
তামিম মনে করেন, দেশের ক্রিকেটে এখন এক ধরনের নেতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এখন যা চলছে, সেটা মোটেই ভালো নয়। সবাই একে অপরকে ছোট করছে, মিথ্যা ছড়াচ্ছে—কিছু সত্য, কিছু মিথ্যা। অথচ আলোচনা হওয়া উচিত ছিল কে নতুন চিন্তাধারা আনতে পারবে, কে এই সময়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।”
তার মতে, শুধু খেলোয়াড়রা আধুনিক ক্রিকেট খেললেই হবে না, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের মধ্যেও আধুনিক মানসিকতার প্রতিফলন থাকা দরকার। নির্বাচিত হলে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করাই হবে তার প্রধান অঙ্গীকার। তবে চার বছরের মেয়াদে সব কিছু একসঙ্গে করতে না গিয়ে তিনি সীমিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিতে চান।
বিসিবির সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০২১ সালের অক্টোবরে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আসন্ন নির্বাচনও অক্টোবরেই হওয়ার কথা। সেই প্রেক্ষাপটেই তামিম মনে করিয়ে দিয়েছেন—এবার এমন কাউকে বেছে নেওয়ার সময় এসেছে, যিনি সত্যিই দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে পারবেন।
দায়িত্ব পেলে আগামী চার বছরে এমন একটি ভিত্তি তৈরি করতে চান তামিম, যা আগামী ৮–১০ বছর বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেবে। তার ভাষায়, “যেমন একটি ব্যবসা শুরু করতে হলে আগে কারখানা গড়তে হয়। কারখানা ছাড়া পণ্য তৈরি সম্ভব নয়। ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও পরিকাঠামো সেই কারখানার মতো।”
তামিমের অগ্রাধিকার হবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। তিনি বলেন, “আমাদের খেলোয়াড়, কোচ আছে, কিন্তু গড়ে তোলার মতো পর্যাপ্ত সুবিধা নেই। এখনও একাডেমির একই মাঠে সবাইকে অনুশীলন করতে হয়। বিপিএল বা ডিপিএলের সময় এক মাঠে সাতটা দল প্র্যাকটিস করে। অথচ বিসিবি বিশ্বের অন্যতম ধনী বোর্ড—প্রায় ১৩০ কোটি টাকা এফডিআর আছে। কিন্তু কাউন্টি দলের মতো অবকাঠামো আমরা গড়ে তুলতে পারিনি।”
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















