জয় দিয়ে আফগানদের বিপক্ষে সিরিজর শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। কিন্তু বুধবার সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে স্বাগদিকদের ১০২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সমতায় ফিরল আফগানিস্তান। রাজশাহীতে এদিন আগে ব্যাট করে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব ১৯ দল ৭ উইকেটে ২৭৫ রান সংগ্রহ করে। জবাবে আজিজুল হাকিমের দল মাত্র ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায়।
এদিন আফগানিস্তানের দুই ওপেনারকে ইনিংস বড় করতে দেয়নি বাংলাদেশ। ৬ রান করা খালিদ আহমেদজাইকে আউট করে আল ফাহাদ। আরেক ওপেনার ওসমান সাদাতকে বোল্ড করেন সামিউন বাসির রাতুল। সাদাত করেন ৩৬ বলে ২৬ রান। তবে তারপর ৮৪ রানের জুটি পায় আফগানিস্তান।
উজাইরউল্লাহকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন আজিজুল হাকিম তামিম। উজাইর করেন ৩৫ বলে ৩১ রান। তারপর মাহবুব খানের সাথে ৬৬ রানের জুটি গড়েন ফয়সাল খান। তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ফয়সাল। ঠিক ১০০ রান করে আউট হন তিনি। ১০৫ বলে ১০০ রান করেন ফয়সাল। তাকেও শিকার করেন তামিম। পরের ওভারে আজিজুল্লাহকে রান-আউট করে অধিনায়ক তামিম। তবে অধিনায়ক মাহবুব খান আফগানিস্তান যুবাদের এগিয়ে নিতে থাকেন।
মাহবুব করেন ৭৮ বলে ৬৮ রান। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৫ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। এই রান তাড়া করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন রিফাত বেগ। জাওয়াদ আবরার ২৪ বলে ২৫ রান করে বোল্ড হয়ে যান। অধিনায়ক তামিমও ফিরে যান ৯ রান করেই। ৪৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন রিজান হোসেন ও কালাম সিদ্দিকী অলিন। তারা দুইজনই হাঁকান অর্ধশতক। তাদের জুটিতে আসে ৯৩ রান। রিজান আউট হয়ে গেলে ভেঙে যায় জুটি। ৫০ বলে ৫২ রান করে আউট হন তিনি। তিনটি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকান রিজান।
তারপর আর কেউই অলিনকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ফলে শেষ ৩৫ রানে সাতটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ব্যাটিং অর্ডার। এতে ১০২ রানের বিশাল ব্যবধানে হার মানতে হয় টাইগার যুবাদের। অলিনের ব্যাট থেকে আসে ৭৯ বলে ৭১ রান। ৮টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। আফগানদের পক্ষে চারটি উইকেট নেন জয়তুল্লাহ শাহীন। এছাড়া তিনটি উইকেট নেন ওয়াহিদুল্লাহ জাদরান।
বগুড়ায় সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে বাংলাদেশ জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। এই ম্যাচে আবার আফগানিস্তান জেতায় সিরিজে এলো ১-১ সমতা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩














