দ্যা হান্ড্রেড পুরুষদের প্রতিযোগিতায় নিজেদের শিরোপা রক্ষার মিশন দারুণভাবে শুরু করেছে রশিদ খানের ওভাল ইনভিন্সিবলস। লর্ডসে লন্ডন স্পিরিটকে মাত্র ৮০ রানে অলআউট করে ৬ উইকেটে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার প্রথমে ব্যাটিং করে ৯৪ বলে ৮০ রানে গুটিয়ে যায় লন্ডন স্পিরিট। দ্যা হান্ড্রেডে পুরুষদের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। পরে ৬৯ বলেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইনভিন্সিবলস।
ইনভিন্সিবলসের হয়ে অভিষেকেই আলো ছড়ান আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান। মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি, সঙ্গে নেন তিনটি ক্যাচও। তার পাশাপাশি স্যাম কারানও শিকার করেন ৩ উইকেট, মাত্র ১৮ রান খরচায়।
কারান একটি বল করেছিলেন ঘণ্টায় মাত্র ৪৭.১ মাইল বেগে — যা দ্য হান্ড্রেড পুরুষদের আসরে কোনো পেসার দ্বারা করা সবচেয়ে ধীর গতির উইকেট-নেওয়া বল।
স্পিরিট ইনিংসের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। প্রথম সেটেই ১০ বলের কৃপণ স্পেল উপহার দেন জেসন বেরেনডরফ। এরপর দ্বিতীয় স্পেলে ক্যান উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে দেন। এর আগে কিটন জেনিংসও সাজঘরে ফেরেন।
ডেভিড ওয়ার্নার তার ”দ্যা হান্ড্রেড” অভিষেক ম্যাচে মাত্র ৯ রানে আউট হন জর্ডান ক্লার্কের বলে। তখন স্পিরিটের সংগ্রহ ছিল ২৬-৩। এরপর মঞ্চে আসেন রাশিদ খান। তৃতীয় বলেই তুলে নেন ওয়েইন ম্যাডসেনকে। এরপরের ১০ বলে মাত্র ১ রান দেন, তুলে নেন আরও দুই উইকেট — লিয়াম ডসন ও রায়ান হিগিনস।
কারানও স্পিরিট ব্যাটসম্যানদের ছন্দপতনে ভূমিকা রাখেন। তার অতিস্লো ডেলিভারিগুলোর বিপরীতে একের পর এক ব্যাটার ভুল করেন। ২১ রান করে সর্বোচ্চ স্কোরার অ্যাশটন টার্নারও ফিরেন কারানের ৪৭.৭ মাইল গতির বলে। এরপরে শেষ ব্যাটসম্যান রিচার্ড গ্লিসনকেও ফিরিয়ে ইনিংসের ইতি টানেন কারান।
অসুবিধাজনক পিচে বড় কোনো ঝুঁকি না নিয়ে ধীরে-সুস্থে রান তাড়া করে ইনভিন্সিবলস। ডসনের দুর্দান্ত স্পিন (২ উইকেট ৯ রান) কিছুটা বাধা দিলেও তাতে ম্যাচের ফল বদলায়নি। ম্যাচের ৬৯তম বলে লুক উডকে ছয় মেরে জয় নিশ্চিত করেন ডোনোভান ফেরেইরা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩











