টেস্ট সিরিজে একচ্ছত্র আধিপত্যের পর টি-টোয়েন্টিতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচ হারের পর লিটন দাসের দল দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। আইরিশদের দেওয়া ১৭১ রানের লক্ষ্য টপকে ৪ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় স্বাগতিকরা। আর এই ম্যাচ শেষে হতাশার মাঝেও বাংলাদেশ দলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক পল স্টার্লিং।
খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্টার্লিং বলেন, তারা আসলে পরিকল্পনার চেয়ে বেশি রানই তুলেছিলেন।
তার ভাষায়, ‘আমরা সবসময় ১৭০ রানকে টার্গেট হিসেবে ভেবেছিলাম। শুরুটাও দারুণ ছিল। কিন্তু ম্যাচ যত এগিয়েছে, ব্যাটিংটা কঠিন হয়ে গেছে। ১৮০ তুলতে না পারাটা হতাশার, তবে খুব বেশি দূরেও ছিলাম না। ম্যাচটা পুরোই টাইট ছিল।’
প্রথম ইনিংসের পরও জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি।
স্টার্লিং বলেন, ‘প্রতি ম্যাচেই আমরা জয়ের বিশ্বাস নিয়ে খেলি। প্রথম ১০ ওভার শেষে ম্যাচটা আমাদের দিকেই ছিল। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়ে নতুন ব্যাটারদের চাপে ফেলতে পেরেছিলাম। তখনো বিশ্বাস ছিল ম্যাচটা জিততে পারব।’
দুই ম্যাচেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নজর কাড়েন তরুণ ব্যাটার টিম টেক্টর। ৩২ ও ৩৮ রানের দুই ইনিংস যেন ভবিষ্যতের বার্তা।
স্টার্লিংও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তাকে
‘অসাধারণ প্রতিভা টেক্টর। অনেকদিন ধরে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ করেছে, এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও মানিয়ে নিচ্ছে। জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ভালো খেলেছিল। ২–৩ বছরের মধ্যে আরও বড় জায়গায় পৌঁছে যাবে বলে আশা করছি।’
বাংলাদেশ সফরকে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির বড় ধাপ হিসেবেও দেখছেন আইরিশ অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘এই সিরিজটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শুরু থেকেই ভেবেছিলাম, বাংলাদেশই হতে পারে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির সেরা জায়গা। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশন এখানকার মতোই হতে পারে। আর বাংলাদেশে খেলতে আমরা সবসময়ই উৎসাহী।’
তবে ম্যাচ হারার কারন হিসেবে তিনি নিজেদের ভুলগুলোকেই দায়ী করেছেন। শেষে লিটন-মুস্তাফিজদের ফিরে আসার ধরন দেখে মুগ্ধতার কথাও উল্লেখ করেন স্টার্লিং।
তার মতে, ‘টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবকিছু দ্রুত বদলায়। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ যে ভুলগুলো করেছে, সেগুলো তারা দুর্দান্তভাবে ঠিক করেছে। অনেক উন্নতি করেছে, আর নিজেদের শক্তিও দেখিয়েছে তারা।’
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















