শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হওয়ার পর ধারহীন বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৫৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে ছয় বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিক দল।
১৫৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের ৭৮ রান স্বাগতিকদের জয়কে সহজ করে দেয়। নিশাঙ্কা ১৬ বলে ৫ বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ৪২ রান করে আউট হন। ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা কুশল পেরেরা অবশ্য ধীর গতির ব্যাটিং করেন। ২৫ বলে ২৪ রান করেন তিনি।
আরেক ওপেনার ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কুশল ৫১ বলে ৭৩ রান করেন। তার আউটের সময় শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিলো ৩ উইকেটে ১৪৮ রান। পরে আর কোন উইকেট না হারিয়েই জয় তুলে নেয় তারা।
বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট তুলে নেন পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এবং দুই স্পিনার মেহেদী মিরাজ ও রিশাদ হোসেন।
এর আগে পাল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিলো বাংলাদেশ।
চার ওভার পাঁচ বল খেলে ৪৬ রান তুলে নিয়েছিলেন জুটি। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন। ৫ম ওভারের শেষ বলে নুয়ান থুসারার বলে মাহিশ থিকশানার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিদ তামিম। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৪ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা।
দলীয় ৪৬ রানে প্রথম উইকেটে হারিয়ে অধিনায়ক লিটন দাসকে নিয়ে ওপেনার ইমন মারমুখি ব্যাটিং করছিলেন। বিপরীতে ধীর গতির ব্যাটিং করেও ইনিংসকে লম্বা করতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন। ১১ বলে ৬ রান করে ফিরতে হয় তাকে।
লিটন দাস আউট হওয়ার পর বেশি সময় টিকেতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমনও। ২২ বলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৮ রানেই থামতে হয় ইমনকে।
একমাত্র ইমন ছাড়া দলের আর কোন ব্যাটারই টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং করতে পারেননি। মোহাম্মদ নাইমের ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান। অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ করেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান। শেষ দিকে ৫ বলে ১৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন শামীম হোসেন পাটওয়ারি।
লঙ্কানদের পক্ষে চার ওভারে ৩৭ রান দিয়ে দুই পেয়েছেন মাহিশ থিকশানা। এছাড়া একটি করে উইকেট পান নুয়ান থুশারা, দাশুন শানাকা ও জেফ্রি ভ্যান্ডারসে
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















