আর্সেনাল দুই দশক আগে সর্বশেষ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দেখা পেয়েছে। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার শিরোপার কাছাকাছি পৌঁছালেও কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। এবারো শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ভালোভাবে টিকে আছে দলটি। সোমবার রাতে অ্যাওয়ে ম্যাচে যেভাবে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে নাস্তানাবুদ করেছে তা প্রতিপক্ষ দলগুলোর বুকে কাঁপন ধরানোর জন্য যথেষ্ঠ। ৬-০ গোলে জয় পেয়েছে দলটি।
আর্সেনালের বড় জয়ে একটা আত্মঘাতি গোল ছিল। অন্য পাঁচ এসেছে মার্টিন ওডেগার্ড, গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি, কাই হাভার্টজ, ডেকলান রাইস ও বেন হোয়াইট। ছয় গোলের পাঁচটি হয়েছে প্রথমার্ধে। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে তারা বড় জয় আগেভাগে নিশ্চিত করেছিল।
এ জয়ের ফলে মাইকেল আর্তেতার দল ২৭ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ৬২ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। আর শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৬৩। ফলে প্রিমিয়ার লিগের লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে।
এই ম্যাচ জয়ের মধ্য দিয়ে গানার্সরা একটা কীর্তি গড়েছে। এটি ছিল তাদের টানা সপ্তম জয়। এ মৌসুমে একমাত্র দল হিসেবে তারা টানা সাত ম্যাচে জয় পেয়েছে। শেফিল্ডের বিপক্ষে আরেকটা গোল পেলেই অ্যাওয়েতে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের কীর্তি গড়তে পারতো আর্সেনাল। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তারা অ্যাওয়েতে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল।
এছাড়া ১৯৩৫ সালে অ্যাওয়ে ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলাকে ৭-১ গোলে হারিয়েছিল দলটি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আর্সেনাল প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলে গোল পেতে তাদের দেরি হয়নি।
পঞ্চম মিনিটে মার্টিন ওডেগার্ডের গোলে তারা এগিয়ে যায়। শুরুর এই গোল যেন প্রতিপক্ষকে হতবুদ্ধি করে দেয়। ফলে কিছু সময় পর নিজেদের জালে নিজেরাই বল জড়িয়ে দেয়।
ত্রয়োদশ মিনিটে জেডেন বোগলে করেন এই আত্মঘাতি গোলটি।
১৫তম মিনিট পর গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি স্কোরশিটে নাম লেখান।
২৫তম মিনিটে কাই হাভার্টজ গোল করে ব্যবধান ৪-০ করেন। ডেকলান রাইস তার গোলটি পান ৩৯ মিনিটে। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে বেন হোয়াইট শেষ গোলটি করে বড় জয় নিশ্চিত করেন।