ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনীর অবসরের বিষয়টি এখন অনেকটা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৫ সালে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টের ১৮তম সংস্করণে নাও দেখা যেতে পারে ধোনীকে। প্রশ্ন উঠেছে চেন্নাইয়ের উইকেটের পেছনে দাঁড়াবেন কে?
সম্ভাব্য তিনটি নাম সামনে উঠে এসেছে। বিশ্বেষকদের মতে, চেন্নাইয়ের রাডারে থাকা এই তিন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ধোনীর যোগ্য উত্তসূরী হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ। কিন্তু যেই তিনজনকে ধোনীর বিকল্প ভাবা হচ্ছে তারা এবারের নিলামে উঠবেন এমন কোন সম্ভাবনাও নেই। তবুও ঋষভ পন্থ, ঈশান কিশান ও লোকেশ রাহুলের নাম যদি কোন কারণে নিলামে উঠেই যায় তবে তাদের যে কোন একজনকে কেনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাই করে যাবে চেন্নাই সুপার কিংস কর্তৃপক্ষ।
সিএসকে কর্তৃপক্ষ এখন ধোনীকে উইকেটের পেছনে দেখতে চায়। তারা চায় আরও কয়েক মৌসুম ধোনী খেলা চালিয়ে যাক। যদিও ব্যাট হাতে ধোনীর ধার কমেছে। কার্যকরী ইনিংস খেলতে পারছেন না। কিন্তু ফ্রাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় নিয়ে খুব একটা ভাবছে না। গত মৌসুমের আগের মৌসুমে অর্থাৎ ২০২৩ সালে দলকে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জিতেয়েই অবসর নিবেন বলেই গুঞ্জন উঠেছিলো। কিন্তু ধোনী গত মৌসুমেও খেলেছেন।
চাইলেও খুবে বেশিদিন আর খেলা হবে না ক্যাপ্টেন কুল ধোনীর। কাগজে-কলমে বয়সটা ৪৩ পূর্ণ হয়েছে গত ৭ জুলাই। ধোনী বলেই এখনও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন বা যেতে পারছেন। সব মিলিয়ে সিএসকে ধোনীর উত্তসূরী খোঁজার কাজটা শুরু করে দিয়েছে।

দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক পন্থ উইকেটের পেছনে ধোনীর মতোই দক্ষ। এমনকি ব্যাটটাও চালাতে পারেন স্বাচ্ছন্দ্যে । কিন্তু তাকে দিল্লি ছাড়বে এমন কোন সম্ভাবনা নেই। আর পন্থের মতো ক্রিকেটার যে দিল্লি ছেড়ে দিবে না চেন্নাই বিষয়টি ভালো করেই জানে। তবুও কোন কারণে দিল্লি যদি পন্থকে ছেড়ে দেয় তবে সিএসকে কর্তৃপক্ষ সর্বশক্তি নিয়োগ করবে তাকে রেখে দেয়ার জন্য।

চেন্নাইয়ের পছন্দের দুই নাম্বারে আছেন ঈশান কিশান। ধোনীর মতো ঈশানও ঝাড়খন্ডের ক্রিকেটার। উইকেটরক্ষক হিসেবে যেমন দক্ষ তেমনি ব্যাটেও ভালো ভরসা হতে পারেন। বয়সটাও কম। গত মৌসুম পর্যন্ত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন। এই মৌসুমেও তাকে দলে রাখতে চাইবে মুম্বাই।

উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে চেন্নাইয়ের তালিকার তৃতীয় নাম্বারে আছেন লোকেশ রাহুল। লখনউ সুপার জায়ান্টসে অধিনায়কের উপরও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে চেন্নাই। উইকেটের পেছনে দারুণ দক্ষ। ব্যাটিংটাও করেন ঠিকঠাক। এমনকি নেতৃত্বগুণও আছে। কিন্তু পন্থ ও ঈশানের তুলনায় বয়সটা একটু বেশি। ফলে তার ওপর দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করার ঝুঁকি নিতে চাইবে না চেন্নাই। তবুও শেষ ভরসা হিসেবে তাকেও বিকল্প হিসেবে ভেবে রেখেছে চেন্নাই সুপার কিংস কর্তৃপক্ষ।
ফলে পন্থ বা ঈশান কিষাণকে পাওয়া না গেলে লোকেশ রাহুলকে দলে টানার চেষ্টা করবে সিএসকে কর্তৃপক্ষ। গত মৌসুমে লোকেশ রাহুলকে ভর্ৎসনা করেছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। পরে অবশ্য রাহুলের সাথে সম্পর্কোন্নয়নে সব চেষ্টাই করেছেন কোলকাতার এই ব্যবসায়ী। তিন মৌসুম ধরেই লখনউয়ের অধিনায়ক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করে আসছেন রাহুল।