ইনজুরির কারণে অফ ফর্মে থাকা নরওয়ের আর্লিং হালান্ড ফর্মে ফিরেছেন। আর তাতে এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে পুড়ে ছারখার হলো লুটন টাউন।
নিজেদের মাঠের খেলায় ২-৬ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে লুটন টাউন। আর্লিং হালান্ড হ্যাটট্রিকসহ পাঁচ গোল করেছেন। ম্যানসিটির হয়ে অন্য গোলটি করেছেন মাতেও কোভাসিস। মঙ্গলবার রাতে এমন বিশাল জয়ে ম্যানসিটি টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে।
আর্লিং হালান্ডের এমন পারফরম্যান্সের কোনো জবাবই ছিল না লুটন টাউনের কাছে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন হালান্ড। ৩, ১৮ ও ৪০ মিনিটে গোল তিনটি করেন। দ্বিতীয়ার্ধে করেন আরো দুই গোল। ম্যানসিটির হয়ে এটা ছিল হালান্ডের সব মিলিয়ে অষ্টম হ্যাটট্রিক।
১৯৭০ সালের পর হালান্ড হচ্ছেন প্রথম খেলোয়াড় যিনি এফএ কাপে কোনো প্রথম বিভাগের দলের বিপক্ষে এক ম্যাচে পাঁচ বা তার বেশি গোল করেছেন। তার আগে ১৯৭০ সালে নর্দাম্পটন টাউনের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ছয় গোল করেছিলেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের ফুটবলার জর্জ বেস্ট।
হালান্ডের এই রেকর্ড গড়া ম্যাচে কেভিন ডি ব্রুইনও রেকর্ডের সঙ্গী হয়েছেন। হালান্ডের করা প্রথম চার গোলের রূপকার ছিলেন তিনি। ২০০৪-০৫ মৌসুমের পর এই প্রথম এফএ কাপের কোনো ম্যাচে এক খেলোয়াড় চার গোলের রূপকার হলেন।
প্রথমার্ধে তিন গোলে পিছিয়ে পড়লেও লড়াইয়ে হাল ছাড়েনি লুটন টাউন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই গোল করে তারা ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিয়েছিল। জর্ডান ক্লার্ক এই দুই গোল করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যে হালান্ড জোড়া গোল করে সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পানি ঢেলে দেন।
গোল উৎসবরে এই ম্যাচে ম্যাচ শেষে ম্যানসিটির হাসিতে একটু ভাটা পড়েছিল। আগামী রোববার তারা প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে। এমন ম্যাচের আগে জ্যাক গ্রেলিশকে তারা পাচ্ছে না। ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।