চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও ইতালির ফুটবল মানেই নিজেদের ঘর সামলে রক্ষণে যাওয়ার কৌশল। সেই দলটাকেই কিনা দায়ীত্ব নেয়ার প্রথম ম্যাচেই আক্রমণাত্নক কৌশলে খেলালেন জেন্নারো গাত্তুসো। ফল হিসেবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে এস্তোনিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইতালি।

আজ্জুরিদের হয়ে প্রথম গোলটি করেন মোইজে কিন। তারপর একে একে স্কোরশিটে নাম লেখান মাতেও রেতেগি, জায়াকোমো রাসপাদোরি ও আলেসান্দ্রো বাস্তোনি। এর মধ্যে রেতেগি করেন জোড়া গোল।
এই জয়ে তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে ‘আই’ গ্রুপের তৃতীয়স্থানে আছে ইতালি। পাঁচ ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে এস্তোনিয়া। চার ম্যাচে সর্বোচ্চ ১২ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আর্লিং হালান্ডের নরওয়ে। চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ইসরায়েল।

সেরি-আ ক্লাব আটালান্তার হোম ভেন্যু ইতালির বার্গামোতে “স্টাডিও ডি বার্গামোতে” ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ফুটবল খেললেও ইতালি প্রথম গোল পায় ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে। অর্থাৎ প্রথমার্ধের পুরোটা সময় তাদের হতাশায় কেটেছে। ৩৫ মিনিটের মধ্যে ইতালির সাতবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিলো। প্রতিটা আক্রমণ থেকেই তাদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিলো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই স্বাগতিকদের একাধিক প্রচেষ্টা রুখে দেয় সফরকারী এস্তোনিয়া। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে হেডে গোল করে ‘ডেডলক’ ভাঙেন মোইজে কিন। দিমার্কোর মাপা ক্রসকে ফ্লিক করেন মাতেও রেতেগি। সেখান থেকে বল পেয়ে যান কিন। গোলবারের খুব কাছ থেকে হেডে দলকে এগিয়ে দেয়ার কাজটা সারেন ফিওরেন্তিনায় খেলো এই অ্যাটাকার।

কাঙ্খিত গোল পেয়ে যেন নতুন প্রাণ পায় স্বাগতিকরা। বাড়িয়ে দেয় আক্রমণ। প্রথম গোলের ১১ মিনিট পর অর্থাৎ ৬৯তম মিনিটে ব্যবধান বা দ্বিগুণ করেন তারা। ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটে গোল করেন মাতেও রেতেগি।
দ্বিতীয় গোলের তিন মিনিট পর হেডে গোল করে ব্যবধান ৩-০ তে নিয়ে যান জায়াকোমো রাসপাদোরি।
৮৯তম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করে স্কোরলাইন ৪-০ করেন মাতেও রেতেগি।
ইনজুরির কারণে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে রাসপাদোরির ক্রসে সবার চেয়ে উঁচুতে লাফিয়ে দারুণ হেডে জালে বল পাঠান আলেসান্দ্রো বাস্তোনি।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















