আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের মাটিতে বসতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরবর্তী আসর। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আট দল খেলবে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে। টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের না যাওয়ার বিষয়টি ততোই সামনে চলে আসছে। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ভারতে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের মাটিতে না গেলে কপাল খুলতে পারে শ্রীলঙ্কার। একই সাথে বাংলাদেশের সামনেও সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণটা সহজ হয়ে যেতে পারে।
প্রতি গ্রুপ থেকে দু’টি করে দল সেমিফাইনালে খেলবে সেই হিসেবে ‘এ-গ্রুপ’ থেকে দুই দলের একটি হয়ে শেষ চারে খেলার স্বপ্ন দেখতে পারে বাংলাদেশ। ‘এ-গ্রুপে’ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ছাড়াও আছে ভারত। ‘বি-গ্রুপে’ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ওআফগানিস্তান।
একমাত্র ভারত ছাড়া অন্য কোন দেশই পাকিস্তানের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে কোন কথা বলেনি। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সামনে রেখেই তাদের যতোসব প্রস্তুতি। একমাত্র ব্যতিক্রম ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ক্রিকেটারদের যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি অবশ্য বোর্ডের ওপরও নির্ভর করছে না। সরাসরি সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার সাথে জড়িত।
সর্বশেষ এশিয়া কাপেও ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানে খেলতে যায়নি। যে কারণে ‘হাইব্রিড’ মডেলে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো ছাড়া বাকি সব ম্যাচই হয়েছে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। সেই টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিলো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এটি অবশ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি’র) টুর্নামেন্ট। ফলে ভারতের দেয়া হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব আইসিসি গ্রহণ নাও করতে পারে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত দায়ীত্বশীল কেউ কোন কথা বলেনি।
ভারত যদি শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকায় শ্রীলঙ্কাকে আমন্ত্রণ জানাবে আইসিসি। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল নিজেদের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাতে না পারলেও ওয়ানডেতে ঠিকই সমীহ আদায় করে নিয়েছে টাইগাররা। ফলে শ্রীলঙ্কার অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের জন্য সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণটা সহজ করে দিতে পারে।