দারুণ জমে উঠেছে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। লর্ডসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দ্বিতীয় দিন শেষে একটা বিষয় নিশ্চিত হয়েছে- ম্যাচ অনিষ্পত্তি থাকছে না। শুধু তাই নয়, তিন দিনের কম সময়ের মধ্যে ফল চূড়ান্ত হচ্ছে। দ্বিতীয় দিন শেষে ফলাফল নির্ধারণের দাঁড়িপাল্লায় অজিরা এগিয়ে রয়েছে। ম্যাচের ফল নিজেদের দিকে টানতে প্রোটিয়াদের কঠোর লড়াই করতে হবে।
টেস্টের প্রথম দিনে ১৪ উইকেটের পতন হয়েছিল। দ্বিতীয় দিনেও তাই হয়েছে। দুই দিন মিলে পতন ২৮ উইকেটের। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে করা ২১২ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ১৩৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও একই চিত্র। ব্যর্থতার মাঝে একজন দাঁড়িয়ে গেলেন। আর তাতেই চরম লজ্জার হাত থেকে রেহাই পেল অজিরা। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৪। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ২১৮ রান এগিয়ে এখন তারা। হাতে রয়েছে ২ উইকেট। ক্রিজে আছেন মাইকেল স্টার্ক ও নাথান লিওন। তারা যথাক্রমে ১৬ ও ১ রানে অপরাজিত।
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রোটিয়া বোলাররা আবার জ্বলে উঠেছিলেন। অস্ট্রেলিয়াকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার সব আয়োজন তারা শেষ করেছিল। কাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিডি একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে সতীর্থদের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন। তাদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে এক পর্যায়ে ৭৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
তারপর শুরু হয় অ্যালেক্স ক্যারে ও মিচের স্টার্কের লড়াই। অষ্টম উইকেটে তারা ৬১ রানের জুটি গড়েন। আর তাতেই অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বুকের ওপর চেপে বসা পাথরটা অনেকটাই সরে যায়। অস্ট্রেলিয়া পেয়ে যায় লড়াইয়ের রসদ। আজ তৃতীয় দিনে বোলাররা তার প্রতিদান দিতে পারলে প্রোটিয়াদের হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হবে।
কাগিসো রাবাদা ও এনগিডি তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। এনগিডি প্রথম ইনিংসে উইকেট শূন্য থাকলেও রাবাদা হেসেছিলেন পাঁচ উইকেট শিকারের আনন্দে। এ ইনিংসেও তার সামনে পাঁচ উইকেট শিকারের সুযোগ রয়েছে। আজ দুই উইকেট শিকার করতে পারলে উভয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের আনন্দ পাবেন তবে দলের পারফরম্যান্সে তার সেই আনন্দ মিইয়ে যেতে পারে।