আগামী বছর অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব প্রায় শেষ করেছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল। ১০ দলের ল্যাটিন অঞ্চলে ১৮টি করে ম্যাচ খেলবে প্রতিটি দল। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ১৭ রাউন্ড। অন্যদিকে, ইউরোপীয় অঞ্চলে কয়েকটি গ্রুপের খেলা মাঝামাঝি পর্যায়ে। কারও মাত্র শুরু। এই যেমন ফ্রান্স খেললো তাদের প্রথম ম্যাচ। ডি-গ্রুপে স্বাগতিক ইউক্রেনের বিপক্ষে আয়েশী জয় তুলে নিয়েছে বিশ্বকাপের বর্তমান রানার্স আপরা।

ম্যাচের দশম মিনিটে বায়ার্ন মিউনিখের উইঙ্গার মাইকেল ওলিসে গোল করার পর ৮২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান রিয়াল মাদ্রিদের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে।

দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিক ইউক্রেন গোলের দারুণ সব সুযোগ তৈরি করলেও জালের দেখা পায়নি। একবার তাদের আক্রমণ গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়। আরেকবার গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেয় ফ্রান্সের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা।
ম্যাচে ফ্রান্সের দখলে ছিলো ৫৬ শতাংশ বল। আক্রমণেও তারা ছিলো এগিয়ে। ১৬ শটের মধ্যে তারা লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিলো ছয়টি। বিপরীতে ইউক্রেনের আট শটের মধ্যে লক্ষ্যে রেখেছিলো তিনটি। এর মধ্যেও গোল হওয়ার মতো ছিলো দু’টি শট।
এদিন ইউক্রেনের গোলরক্ষক আনাতোলি ট্রুবিন ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি আক্রমণ রুখে দিয়েছেন। পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকায় খেলা এই গোলরক্ষক ম্যাচের ১৮ ও ১৯তম মিনিটে যথাক্রমে মাইকেল ওলিস ও দিজেরে দুয়ের, ৫৮তম মিনিটে বদলি হিসেবে খেলতে নামা উসমান দেম্বেলে এবং নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের একটি আক্রমণ রুখে দেন।
৬৫তম মিনিটে গোল লাইন থেকে বল ফিরিয়ে দেন ফ্রান্সের ইব্রাহিমা কোনাতে। ইউক্রেনের আর্তেমের হেড এসি মিলানে খেলা গোলরক্ষক মাইক মেইগনানকে পরাস্ত করলেও হেডে গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার কোনাতে।
পরের মিনিটেই আরও একবার দুর্ভাগ্যের শিকার হয় ইউক্রেন। গোলবারের খুব কাছ থেকে করা ইলিয়া ইয়াবার্নির হেড পোস্টে লাগে।
ডি গ্রুপের অন্য ম্যাচে আজারবাইজানকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে আইসল্যান্ড।
নিজেদের গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। আর আজারবাইজানের বিপক্ষে খেলবে ইউক্রেন।
ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডের তালিকায় এখন দ্বিতীয়স্থানে থিয়েরি অঁরির পাশে বসলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। উভয়েই করেছেন ৫১টি করে গোল। ৫৭ গোল নিয়ে শীর্ষে অলিভিয়ের জিরু। অবশ্য এমবাপ্পে যে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবেন সে প্রত্যাশা করাই যায়।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















