কোচ হিসেবে তিনি কিংবদন্তী। তিন তিনটা ক্লাবকে জিতিয়েছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্সলিগের শিরোপা। বার্সোলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ হয়ে এখন ম্যানচেস্টার সিটি। সাফল্যয় মোড়ানো এই কোচকে জাতীয় দলেও পেতে চেয়েছে অনেক দেশ। সাড়া দেননি গার্দিওলা। সেই তিনিই এখন জানালেন অবসরে যেতে চান জাতীয় দলের দায়ীত্ব পালন করেই।
ক্লাব ফুটবলে খেলোয়াড় হিসেবে যেমন কোচ হিসেবে তেমন সাফল্যে ভরপুর পেপ গার্দিওলার ক্যারিয়ার। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাকালে ধু ধু মরুভূমি। কোচিং ক্যারিয়ারের বায়োডাটায় জাতীয় দলের নাম অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সব সময় ক্লাব ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন। কখনো কখনো আলোচনায় এসেছেন, কিন্তু জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া আর হয়নি। তবে অবসরের আগে একটা জাতীয় দলের হয়ে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন ক্লাব ফুটবলের কিংবদন্তী।
গার্দিওলার সঙ্গে এর আগে ব্রাজিল, ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি করার চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কোনো পক্ষই সফল হননি। বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে গার্দিওলার চুক্তি রয়েছে। আগামী বছর এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়াননি গার্দিওলা। আবার মেয়াদ যে বাড়াবেন না সে কথাও বলেননি।
গার্দিওলা আবার যে কোনো দলের দায়িত্ব নিতে চান না। যে দলের ভবিষ্যত ভালো শুধু মাত্র তাদেরই দায়িত্ব নিতে চান। কেননা দল নিয়ে নিয়ে বিশ্বকাপ, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ বা কোপা আমেরিকায় খেলতে চান।
ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে গার্দিওলা বলেন, একটা জাতীয় দলরে হয়ে কাজ করতে চাই। বিশ্বকাপ বা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে যেতে চাই।’
কোন দলের দায়িত্ব নিতে চান সে সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কোন দল আমাকে নিতে চায় সে সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। এটা ক্লাব ফুটবলেরই মতো। তারা আমাকে চায় কিনা সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
ক্লাব ফুটবলে কোচিং ক্যারিয়ারে গার্দিওলা সাফল্যটা ঈর্ষনীয়। স্পেন, জার্মানি ও ইংল্যান্ডে ক্লাব ফুটবলে তিনি তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছেন। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটি হয়ে এ পর্যন্ত ৩২টি ট্রফি জয় করেছে।
তবে কখনো বিশ্বকাপ, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ও কোপা আমেরিকার দেখা পাননি। কখনো এ সব ট্রফি জয়ের পরিকল্পনাও করিনি। গার্দিওলা বলেন, আমি কখনো বিশ্বকাপ জয়ের পরিকল্পনা করিনি। যখন আমি ক্যারিয়ার শুরু করি তখন লিগ শিরোপা বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের কথা চিন্তা করিনি।’