প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়েছিলো সাইফুল বারী টিটুর মেয়েরা। দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ভারতকে হারালো ৩-১ গোলে। টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করলো অর্পিতা বিশ্বাসের দল। ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে গোল করেন আলপি আক্তার, সুরভী আকন্দ প্রীতি ও অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস।
ম্যাচের ৯ম মিনিটে দূরপাল্লার শটে গোল করেন ৯ নাম্বার জার্সিধারী আলপি আক্তার। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষে করে বাংলাদেশ দল।
ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে ডানপ্রান্ত অবিশ্বাস্য এক গোল করে ভারতকে সমতায় ফেরান আনুষ্কা কুমারী। ডি বক্সের ডানপ্রান্তের বাইরে থেকে প্রায় সাইডলাইনের কাছ থেকে আনুষ্কার শট লাফিয়ে উঠেও ঠেকাতে পারেননি বাংলাদেশে গোলরক্ষক মোসাম্মত ইয়ারজান বেগম।
১-১ গোলে সমতায় ফেরার পর বাংলাদেশের ওপর চড়াও হয় ভারতের মেয়েরা। এই সময় রক্ষণের ওপর বেশ চাপ তৈরি হলেও জাল অক্ষত রাখতে সমর্থ হয় বাংলাদেশের মেয়েরা।
৭৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের গতিতে পরাস্ত করে বাংলাদেশকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। ২-১ গোলের লিড পেয়ে এবার উল্টো প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয় সাইফুর বারী টিটুর শিষ্যরা।
৮৯তম মিনিটের শুরুতেই কর্নার থেকে উড়ে আসা বলকে জালে পাঠিয়ে দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস।
এক মিনিট পর আরও এক গোল পেতে পারতো বাংলাদেশ দল। বদলি খেলোয়াড় মোসাম্মত মৌমিতা খাতুনের দূরপাল্লার শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ভারতীয় গোলরক্ষক সুর্যমনী কুমারি।
শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল।
গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৮ মার্চ ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এর আগে ৭ মার্চ স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে খেলতে নামবে ভারতীয় দল। এই দলের জয়ী দল ১০ মার্চের ফাইনালে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে। অবশ্য ম্যাচটি ড্র হলে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে চলে যাবে ভারত।