টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য ফিফার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) প্রায় ৩০ কোটি টাকা পাবার সুযোগ পেয়েছে। তবে সেখানে শর্ত রয়েছে—আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু না হলে বরাদ্দ ফেরত যেতে পারে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিশ্চিত করেছেন, ফান্ড ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) কমলাপুর স্টেডিয়াম ও বাফুফে ভবনের পাশে কৃত্রিম ঘাসের মাঠের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
তিনি জানান, তিন বছর আগে বাফুফে ‘সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রথমে কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং এলাকায় জায়গা পাওয়া যায়। পরে সেই জমির পরিবর্তে একই জেলার রশিদনগরে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রকল্পটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন মিললেই নির্মাণকাজ শুরু হবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন,
‘এটি বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রসেসিংয়ে আছে। আশা করি, ফান্ড ফেরত যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হবে না। আমরা বাফুফে ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বিষয়টি নিশ্চিত করব।’
তিনি ক্রীড়া উন্নয়নে স্পষ্ট ভিশনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন,
‘আমাদের খেলাধুলায় এখনো কোনো নির্দিষ্ট ভিশন নেই। একদিকে চলা হচ্ছে, যেখানে চোখ যাচ্ছে। এখনই আমাদের ১০ বছরের পরিকল্পনা ঠিক করতে হবে—আগামী এক দশকে আমরা কী অর্জন করতে চাই।’
এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে ২০ একর জমি বাফুফের অনুকূলে হস্তান্তর করে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ। বাফুফে সেখানে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স নির্মাণের প্রস্তুতি হিসেবে ফিফার কাছে ইএসআই (এনভায়রনমেন্ট সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যানালাইসিস) রিপোর্ট পাঠায়।
তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জানায়, জায়গাটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে পড়ায় পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য বাফুফেকে বিকল্প জায়গায় টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। নতুন জায়গাটি রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়ায়, যেখানে মোট জমির পরিমাণ ১৯.১ একর। বাফুফে বর্তমানে সেখানে ১৫ একরের মতো জায়গা পাচ্ছে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















