প্যারিস সেন্ট জার্মেই, পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আগেই এক পা দিয়ে রেখেছিল। নিজেদের মাঠে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের খেলায় জয় পেয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে ফিরতি লেগের ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ গোল গড়ের জয় নিয়ে শেষ আটে খেলা নিশ্চিত করেছে প্যারিসের ক্লাবটি।
ফ্রেঞ্চ ক্লাবটির হয়ে জোড়া গোল করেছেন সময়ের আলোচিত খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপ্পে। এর ফলে গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছালো।
সময়ের অন্যতম আলোচিত ক্লাব পিএসজি। গত কয়েক বছরে নামী সব খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়ে কাঙ্খিত সেই সাফল্য পায়নি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু সেই স্বপ্নটা পূরণ হচ্ছেই না। এবারও সেই স্বপ্ন পূরণের মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি। গ্রুপ পর্বে তার প্রমাণও রেখেছে।
তবে রিয়াল সোসিয়েদারের বিপক্ষে লড়াইটা মোটেও সহজ ছিল না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের আগে সব ধরণের প্রতিযোগিতায় ১০ ম্যাচে অপরাজিত থাকা দলটি বর্তমানে ইনজুরি আক্রান্ত। ফলে পিএসজির সঙ্গে মাঠের লড়াইয়ে তারা পেরে ওঠেনি। বিশেষ করে দূর্দান্ত ফর্মে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে তাদের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে দেখা দিয়েছিল।
এমবাপ্পেকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা তাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। তার গতির সঙ্গে পেরে ওঠেনি স্বাগতিক দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। ফলে দুই গোল করে দলকে জয় এনে দিতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি এমবাপেকে। এ ম্যাচের জোড়া গোল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে ১৫ ম্যাচে এমবাপ্পের গোল সংখ্যা দাঁড়াল ১১।
১৫ মিনিটে এমবাপ্পে প্রথম গোল পান। তার আগে একাধিকবার তিনি প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছিলেন। ওসমানে দেম্বেলের কাছ থেকে বল পেয়ে এ গোলটি করেন তিনি। তার এ গোল রিয়াল সোসিয়েদাদ সমর্থকদের স্তদ্ধ করে দেয়। পিএসজিকে হারানোর স্বপ্ন নিয়ে সোসিয়েদাদ সমর্থকরা রিয়েলে অ্যারেনা কানায় কানায় ভরিয়ে তুলেছিল। কিন্তু খেলোয়াড়রা তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। বরং ৫৬ মিনিটে আবার গোল করেন এমবাপ্পে।
নিজেদের মাঠ হলেও পিএসজির জন্য রিয়াল সোসিয়েদাদ তেমন একটা হুমকি তৈরি করতে পারেনি। তবে ৮৯ মিনিটে মিকেলে মেরিনোর গোল কিছুটা সান্ত্বনা এনে দেয় তাদের।