খবরটি দেরিতে গণমাধ্যমে এসেছে। ঈদের আগের দিন অর্থাৎ ৬ জুন রাতে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে পৌঁছান বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার রাণী হামিদ ও তার সহযোগী রেটেড দাবাড়ু আছিয়া সুলতানা। লক্ষ্য আন্তর্জাতিক একটি টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া। কিন্তু রাণী হামিদকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলেও আছিয়া সুলতানাকে ফেরত পাঠানো হয় বাংলাদেশে। এই খবরটি গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করেছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।
আছিয়া দাবাড়ু হলেও মূলত রাণী হামিদের সহযোগী হিসেবেই নয়া দিল্লি গিয়েছিলেন। তার ফিরে আসার কারণে বিপাকে পড়েছেন ৮০ বছর বয়সি রাণী হামিদ। দাবায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখলে একা একা চলাফেরা করতে পারেন না বাংলাদেশের নারী দাবাড়ুদের পথিকৃত রাণী হামিদ।
৬ জুন সন্ধ্যা সন্ধ্যায় ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আছিয়াকে আটকে দেয়ার পর পরের দিন, ৭ জুন সকালে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, আছিয়া এর আগে মেডিকেল ভিসায় ভারতে গিয়ে ডাক্তার দেখাননি। উল্টো একটি দাবা টুর্নামেন্টে অংশ নেন যা ভারতের ভিসা আইনের লঙ্ঘন। এ কারণেই তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং এবার তাকে ভারতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
৭ জুন থেকে শুরু হওয়া ২১তম দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল ওপেন গ্র্যান্ডমাস্টার্স চেস টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি ৫১ লাখ রুপি। রাণী হামিদের সফরসঙ্গী হয়ে আছিয়া একাধিকবার বিদেশে সফর করেছেন। দাবায় খুব আলোচিত নাম হলেও আছিয়া নিয়মিতই বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নেন।
আছিয়া জানান, আগেরবার তিনি মেডিকেল ভিসাতেই ভারতে গিয়েছিলেন। চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পরিকল্পনা থাকলেও ওই সময় আছিয়ার ডাক্তার ছুটিতে ছিলেন। সে কারণে কাশ্মীরে একটি আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েই দেশে চলে আসেন।