কোয়ার্টার ফাইনালের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ইকুয়েডরকে ৪-২ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। এর আগে হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের রীতিমতো নাভিশ্বাস তুলছিলেন ইকুয়েডরের সেরা দুই তারকা মইসেস কেইসেডো এবং এনার ভ্যালেন্সিয়া। তবে ৩০ মিনিটের পর থেকে আলবিসেলেস্তেরাই রাজত্ব করেছেন পুরোদমে।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মেসির কর্নার কিকে ম্যাক অ্যালিস্টারের হেড থেকে গোল করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। যা আর্জেন্টিনার জার্সিতে এই ম্যানইউ ডিফেন্ডারের ক্যারিয়ারের প্রথম গোল। তাঁর গোলের সুবাদেই ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৬০ মিনিটে কর্নার কিক থেকে ডি-বক্সে থাকা রদ্রিগো ডি পলের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। সেখান থেকে গোল শোধ করার সুযোগ পেয়েও পেনাল্টি মিস করেন ভ্যালেন্সিয়া। তাঁর শট থেকে বল গোলবারে লাগার সুবাদে ম্যাচে লিড ধরে রাখে আর্জেন্টিনা।
তবে ম্যাচের অতিরিক্ত ৫ মিনিটের প্রথম মিনিটেই সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। স্ট্রাইকার রদ্রিগেজের হেডার জালে জড়ানো আটকাতে পারেননি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তাতে খেলা গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে শেষ সময়ে গোল হজম করে বিপাকে পড়ে আর্জেন্টিনা। আর প্রথম কিক নিতে আসা লিওনেল মেসির শট মিস হলে তাতে সংশয় আরো বাড়ে। তবে আরো একটা রুপকথার জন্ম দিয়ে এমি মার্টিনেজ ঠেকালেন আনহেল মেনা আর অ্যালান মিন্দার শট। আর আর্জেন্টিনা গোল করল পরের চার শটেই। তাতেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো আর্জেন্টিনা।