অনেকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল একটাই কথা। নেইমার নাকি সেই ‘প্রিন্স’, যার সকল ক্ষমতা আছে, কিন্তু মাথায় কখনোই ওঠেনি রাজমুকুট। আর ঠিক এমন সময়েই, ইনজুরির ব্যথা লুকিয়ে শৈশবের ক্লাব সান্তোসের হয়ে হ্যাটট্রিক করে নেইমার যেন নতুন করে জানিয়ে দিলেন, তিনি এখনো আলোয় ঝলমল করেন, তিনি এখনো নেইমারই।
অবনমন আতঙ্কে কাঁপতে থাকা সান্তোসকে বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়েই মাঠে নামেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। আর সেই কঠিন সময়েই জুভেনতুদের বিপক্ষে মাত্র ১৭ মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল করে দলকে তুলে আনেন বিপদসীমার বাইরে। আলফ্রেদো জাকোনি স্টেডিয়ামে ৩-০ গোলের এই জয়ে নেইমারই ছিলেন পুরো ম্যাচের কেন্দ্রবিন্দু।
৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের হাঁটুর মেনিসকাস ইনজুরির কারণে মৌসুম শেষে সার্জারি লাগতে পারে এমন খবরই এসেছিল গত সপ্তাহে। তবুও দুই ম্যাচ ধরে তিনি মাঠে নামছেন ব্যথা সঙ্গী করে। সেই নেইমারকে নিয়ে সমর্থকদের একাংশের ক্ষোভও কম ছিল না। অভিযোগ ছিল, চোটে জর্জরিত এই তারকা নাকি আর ক্লাবের কিছুই করতে পারছেন না।
কিন্তু ফুটবল এমনই, এক রাতেই বদলে যায় গল্প। নেইমারও যেন সেই মুহূর্তটির অপেক্ষায় ছিলেন। শেষ দুই ম্যাচে একাই সান্তোসকে জেতালেন তিনি। আগের ম্যাচে করেছিলেন গোল আর অ্যাসিস্ট। এবার সিরি আঁ’তে জুভেনতুদের বিপক্ষে তিন গোল করলেন, প্রথমটি কাউন্টার অ্যাটাকে, দ্বিতীয়টি ইগর ভিনিসিউসের দুর্দান্ত ক্রস থেকে, আর শেষটি পেনাল্টি থেকে। ৮৩ মিনিটে মাঠ ছাড়ার আগে কাজটা সেরে গেলেন সম্পূর্ণ।
২০২২ সালের এপ্রিলের পর এটাই নেইমারের প্রথম হ্যাটট্রিক। শেষবার পিএসজির হয়ে ক্লেরেমন্তের বিপক্ষে করেছিলেন তিনি। বর্তমানে তার গোল ৮টি, অ্যাসিস্ট ১টি, মোট ১৮ ম্যাচে।
হয়তো রাজমুকুট নয়, কিন্তু নেইমার বারবার প্রমাণ করছেন যে তার আলো নিভে যায়নি। শুধু সঠিক মুহূর্তেই সেটা সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩











