বাংলাদেশ ফুটবল দল আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামছে। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। যদিও ম্যাচটি প্রীতি, তবে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা এটিকে দেখছেন আসন্ন হংকং ম্যাচের প্রস্তুতির বড় সুযোগ হিসেবে। একই সঙ্গে তার শিষ্যদের জন্য এটি হতে পারে তিন বছর আগের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার মঞ্চ।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতেই নেপালের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে কাবরেরা বলেছেন, “এখানে খেলা সব সময়ই কঠিন। তবে এবার আমরা আগের চেয়ে ভালো করার প্রত্যাশা করছি।”
বাংলাদেশ দলকে নিয়ে বাড়তি হতাশা তৈরি করেছে হামজা চৌধুরীর অনুপস্থিতি। মাঝমাঠের এই নির্ভরযোগ্য ফুটবলার চোটের কারণে নেপাল সফর থেকে ছিটকে গেছেন। তার অভাব নিয়ে সমর্থকদের মতোই আফসোস করেছেন নেপাল অধিনায়ক কিরণ চেমজং। যদিও নেপালের কোচ ম্যাট রস মনে করেন, বাংলাদেশ এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী দল। তার ভাষায়, “আমরাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখব।”
পরিসংখ্যানও নেপালের পক্ষে কথা বলছে। দুই দলের শেষ ১০ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র দুটি, বাকিগুলোতে প্রাধান্য দেখিয়েছে স্বাগতিকরা। র্যাঙ্কিংয়েও নেপাল (১৭৬) এগিয়ে আছে বাংলাদেশের (১৮৪) চেয়ে।
তবু জয়ের ক্ষুধা কম নেই লাল-সবুজ শিবিরে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হারের ক্ষত এখনো টাটকা। তাই কাঠমান্ডুর ম্যাচকে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার সুযোগ হিসেবেই দেখছেন জামাল ভূঁইয়ারা। যদিও কয়েকজন নিয়মিত খেলোয়াড় অনূর্ধ্ব–২৩ দলে থাকায় দলে পরিবর্তন এসেছে, কোচ কাবরেরা স্পষ্ট করেছেন, “এটা দ্বিতীয় সারির দল নয়।”
তবে ম্যাচের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে ভেন্যুর মান। ফিফা ও এএফসি মানদণ্ডে অনুমোদন না পাওয়া দশরথ স্টেডিয়ামে খেলা হলেও, পিচের অবস্থা দেখে সন্তুষ্ট নন কাবরেরা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















