গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ে মাঠের লড়াইয়ে কেউ হারেনি। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকার পর পেনাল্টি শ্যুট আউটে পর্তুগালকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স।
হয়তো রোনালদো, নয়তো এমবাপ্পে! একজনকে বিদায় নিতেই হতো। এমন কঠিন পরীক্ষায় শেষ পর্যন্ত ইউরোর মঞ্চ থেকে ভাগ্যের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে ভাগ্যে পরীক্ষার আগে জমজমাট এক লড়াই দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। ম্যাচের প্রতিটি পরতে পরতে ছিল উত্তেজনা। দুই দলের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ধীরে ধীরে জমে ওঠতে থাকে তাদের লড়াই।
যদিও প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক আক্রমণ করে কাঙ্খিত গোল পায়নি কোনো দল। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
যেখানে হেরে ইউরো মঞ্চকে বিদায় জানিয়েছেন রোনালদো। রঙহীন বিদায়ের ম্যাচে দেখা গেল এক বিধ্বস্ত, হতাশাগ্রস্ত তারকাকে। এত শক্তপোক্ত একটা মানুষ পুরো পৃথিবীজুড়ে যার রয়েছে অগণিত ভক্ত-সমর্থক। তাকে কি এভাবে মানায়! তবুও ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। খালি হাতেই বিদায় নিলেন সি-আর সেভেন।
টাইব্রেকারে প্রথম শটটি নিতে আসেন দেম্বেলে। প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। পর্তুগালের হয়ে প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ফ্রান্সের হয়ে দ্বিতীয় শটে গোল করেন ফোফানা। দ্বিতীয় শটে গোল করেন পর্তুগালের বের্নার্দো সিলভা। পর্তুগিজ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে তৃতীয় গোলটি করেন কুন্দে।
পর্তুগালের হয়ে তৃতীয় শট নিতে আসেন জোয়াও ফেলিক্স। তার শটটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দলের হয়ে চতুর্থ পেনাল্টিতে গোল করেন বারকোলা। তবে পরের শটে গোল করেন পর্তুগালের নুনো মেন্দেস। পঞ্চম শটে হার্নান্দেজ লক্ষ্যভেদ করলে উল্লাসে মেতে ওঠে ফ্রান্স। টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলের জয় পেয়ে সেমিতে পা রাখে ফরাসিরা।