সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ বা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় কোন আসরের সেমিফাইনালে খেলার মধ্য দিয়ে ব্রাজিলীয় কিংবদন্তী পেলের রেকর্ড ভাঙলেন লামিনে ইয়ামাল। শুধু ম্যাচ খেলেই থেমেই থাকেননি এই স্প্যানিয়ার্ড। গোলও করেছেন এই তরুণ তুর্কী।
ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলতে নামার সময় লামিনে ইয়ামালের বয়স ছিলো ১৬ বছর ৩৬২ দিন। শুধু খেলতে নেমেই থেমে থামেননি তিনি। গোলও করেছেন। এর আগে ১৭ বছর ২৪২ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৫৮’র বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়েছিলেন ব্রাজিলীয় কিংবদন্তী পেলে।
ফ্রান্সের বিপক্ষে লামিনে ইয়ামালের গোলেই সমতায় ফেরে স্পেন। আর দানি ওলমোর স্কোরে ২-১ গোলে লিড নিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালের বিরতিতে যায় স্পেন।
ম্যাচের ৮ম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের মাপা ক্রসে রান্দাল কোলো মুয়ানি স্পেনের রক্ষণকে কোন সুযোগ না দিয়ে হেডে গোল করেন। অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ম্যাচে ফিরতে মরীয়া স্পেন বার বারই আক্রমণে যায়। ২১তম মিনিটে লামিনে ইয়ামাল দূরপাল্লার শটে স্পেনকে সমতায় ফেরান।
এর চার মিনিট পরই ডি বক্সের ভেতর থেকে দ্রুতগতির শট নেন ১০ নাম্বার জার্সিধারী দানি ওলমো। তার নেয়া শট ফ্রান্সের ডিফেন্ডার জুল কুন্দের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। অবশ্য তার পায়ে বল না লাগলেও গোল হয়ে যেতো।
এদিকে, রেকর্ড ভাঙাই যেন অভ্যাস হয়ে গেলে লামিনে ইয়ামালের। গড়েছেন এক ম্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচ অ্যাসিস্টের রেকর্ড। এবারের ইউরোতে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে জর্জিয়ার বিপক্ষে পাঁচ অ্যাসিস্ট করে ফরাসি কিংবদন্তী জিনেদিন জিদানের করা আগের রেকর্ডটি ভেঙে দেন ১৬ বছর বয়সি লামিনে।