প্রবাসী ফুটবলার নিয়ে বিশ্বকাপে কেপ ভার্দে; বাংলাদেশও কি পারবে?

প্রবাসী ফুটবলার নিয়ে বিশ্বকাপে কেপ ভার্দে; বাংলাদেশও কি পারবে?

প্রবাসী ফুটবলার নিয়ে বিশ্বকাপে কেপ ভার্দে

আফ্রিকার ছোট্ট দ্বীপদেশ কেপ ভার্দে ইতিহাস গড়েছে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপে। প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়েই তাদের এই উত্থান যেন ছোট দেশগুলোর জন্য বড় অনুপ্রেরণা। এখন প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশও কি পারবে প্রবাসী তারকাদের হাত ধরে এমন উত্থান ঘটাতে?

প্রবাসী ফুটবলার নিয়ে বিশ্বকাপে কেপ ভার্দে

২০১৩ সালে ডেনমার্কপ্রবাসী জামাল ভূঁইয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের প্রবাসী ফুটবলার অধ্যায়। তখন অনেকেই সন্দিহান ছিলেন—বিদেশে বেড়ে ওঠা খেলোয়াড়রা কি দেশের ফুটবলে খাপ খাওয়াতে পারবেন? সময়ই দিয়েছে তার উত্তর। জামাল শুধু দলে জায়গা করে নেননি, নেতৃত্বের দায়িত্বও কাঁধে তুলে নিয়েছেন।

এরপর ধীরে ধীরে যোগ দেন আরও অনেকেই তারিক রায়হান কাজী, সৈয়দ কাজেম শাহ, ফাহামিদুল ইসলাম, শমিত সোম। আর সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী। তাঁর আগমন যেন বদলে দিয়েছে বাংলাদেশ দলকে ঘিরে সমর্থকদের দৃষ্টিভঙ্গি। জাতীয় দলে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই দুর্দান্ত এক গোল করে হামজা দেখিয়ে দিয়েছেন—বিদেশে জন্মালেও হৃদয়ে তিনি বাংলাদেশেরই সন্তান।

হামজার সাফল্যের পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও নতুন করে প্রবাসীদের খোঁজে নেমেছে। এখন প্রক্রিয়াধীন আছেন আরও কয়েকজন—কিউবা মিচেল ও জায়ান হাকিমের মতো তরুণ প্রতিভারা। তাদের যোগদানে জাতীয় দলের রোস্টার আরও শক্তিশালী হওয়ার আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এসব ফুটবলারদের অনেকেই জন্ম ও বেড়ে উঠেছেন ইউরোপে, তবে শিকড়ের টানেই তাঁরা বেছে নিচ্ছেন লাল সবুজের পতাকা। তাঁদের মাধ্যমে ফুটবলের মান যেমন বাড়ছে, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের নামটা নতুনভাবে উচ্চারিত হচ্ছে।

ফুটবল বোদ্ধাদের মতে, প্রবাসী খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের জন্য হতে পারে নতুন যুগের সূচনা। যেমন কেপ ভার্দে প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে পৌঁছে গেছে, বাংলাদেশও সেই পথেই হাঁটছে ধীরে ধীরে।

একসময় হয়তো লাল সবুজের জার্সিতেই দেখা যাবে আরেক হামজা, আরেক জামালকে—যারা বাংলাদেশের ফুটবলকে নিয়ে যাবে এক নতুন উচ্চতায়। স্বপ্নটা আজ হয়তো দূরের, কিন্তু অসম্ভব নয়। কারণ প্রতিটি বিপ্লবই শুরু হয় এমন এক বিশ্বাস থেকে—“আমরাও পারব।”

Exit mobile version