বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ক্লাবগুলোর ওপর একের পর এক ফিফার নিষেধাজ্ঞা নেমে আসছে। গত সপ্তাহে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের ওপর শাস্তি দেওয়ার পর এবার একই পরিণতি হলো তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনীরও।
বিদেশি ফুটবলার ও কোচদের পাওনা বকেয়া পরিশোধ না করায় ৩ নভেম্বর (সোমবার) থেকে ক্লাবটির খেলোয়াড় নিবন্ধন কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফিফা। একই সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগের আরেক জায়ান্ট বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধেও পাঁচটি পৃথক নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্লাব বিদেশি খেলোয়াড় বা কোচের চুক্তি অনুযায়ী প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ না করলে কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, আবাহনীর বিরুদ্ধেও এমন কোনো বিদেশি ফুটবলার বা কোচের আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই শাস্তি এসেছে।
বসুন্ধরা কিংসের ক্ষেত্রে রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরি তিতে এবং কয়েকজন বিদেশি খেলোয়াড়ের পাওনা বকেয়া থাকায় মোট পাঁচটি আলাদা নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। অন্যদিকে, দুই মৌসুম আগে খেলা ইরানি ফুটবলার মাইসেমের দাবি অনুযায়ী ২৯ অক্টোবর মোহামেডানের ওপরও দলবদল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ফিফা।
চলতি মৌসুমের শুরুতেই ফিফার নিষেধাজ্ঞা দেখা দেয় ঘরোয়া ফুটবলে। প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণ নিয়েই অনিশ্চয়তায় পড়েছিল ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। তবে উজবেক ফুটবলারের পাওনা পরিশোধ করায় তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ফিফা, ফলে দলটি এখন নিয়মিত খেলছে। এর এক মাসের মধ্যেই কিংসের ওপরও দলবদল নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
তবে প্রিমিয়ার লিগের চলমান দলবদল পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ায় আপাতত এই ক্লাবগুলোকে বড় কোনো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। তবে দুই লেগের মাঝামাঝি সময়ে নতুন খেলোয়াড় দলে নিতে চাইলে আগে অবশ্যই ফিফার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
বর্তমানে ফিফার রেজিস্ট্রেশন ব্যান তালিকায় বাংলাদেশের মোট ১১টি ফাইল রয়েছে। এর মধ্যে বসুন্ধরা কিংসের ৫টি, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ৩টি এবং মোহামেডান, আবাহনী ও ফেনী সকার ক্লাবের ১টি করে ফাইল ফিফার কাছে খোলা রয়েছে।
