ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলো স্পেন। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় তিনটি গোলই হয়েছে ম্যাচের প্রথমার্ধে। এই ম্যাচে গোল করে বিশ্বকাপ বা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় আসরে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে পেলের রেকর্ড ভাঙলেন ১৬ বছর বয়সি লামিনে ইয়ামাল।
ম্যাচের ৮ম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের মাপা ক্রসে রান্দাল কোলো মুয়ানি স্পেনের রক্ষণকে কোন সুযোগ না দিয়ে হেডে গোল করেন। অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ম্যাচে ফিরতে মরীয়া স্পেন বার বারই আক্রমণে যায়। ২১তম মিনিটে লামিনে ইয়ামাল দূরপাল্লার শটে স্পেনকে সমতায় ফেরান।
এর চার মিনিট পরই ডি বক্সের ভেতর থেকে দ্রুতগতির শট নেন ১০ নাম্বার জার্সিধারী দানি ওলমো। তার নেয়া শট ফ্রান্সের ডিফেন্ডার জুল কুন্দের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। অবশ্য তার পায়ে বল না লাগলেও গোল হয়ে যেতো।
দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্স মরীয়া হয়ে খেললেও স্পেনের জমাট রক্ষণের সামনে বার বারই তাদের আক্রমণগুলো খেই হারায়। এই সময় উভয় দলের খেলোয়াড়রাই বেশ আক্রমণাত্নক হয়ে ওঠে। স্পেনের ইয়ামাল ও নাভাস ও ফ্রান্সের চুয়ামেনি হলুদ কার্ড দেখেন।
সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ বা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় কোন আসরের সেমিফাইনালে খেলার মধ্য দিয়ে ব্রাজিলীয় কিংবদন্তী পেলের রেকর্ড ভাঙলেন লামিনে ইয়ামাল। শুধু ম্যাচ খেলেই থেমেই থাকেননি এই স্প্যানিয়ার্ড। গোলও করেছেন এই তরুণ তুর্কী।
ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলতে নামার সময় লামিনে ইয়ামালের বয়স ছিলো ১৬ বছর ৩৬২ দিন। শুধু খেলতে নেমেই থেমে থামেননি তিনি। গোলও করেছেন। এর আগে ১৭ বছর ২৪২ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৫৮’র বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়েছিলেন ব্রাজিলীয় কিংবদন্তী পেলে।