বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের ওপর খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। সাবেক রোমানিয়ান কোচ ভেলেরি তিতা ও ফরাসি ট্রেইনার খলিল চাকরৌনের বকেয়া পরিশোধ না করায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। এর আগে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবও একই কারণে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল, যদিও তারা বিষয়টি সমাধান করে ফেলেছে।
ফিফা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ২৭ আগস্ট থেকে কিংসের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। অভিযোগকারী ট্রেইনার খলিল অবশ্য এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো নোটিশ পাননি। ফিফা বিষয়টির সমাধান করার জন্য কিংসকে নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়েছিল, তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এই শাস্তি কার্যকর হয়।
নিষেধাজ্ঞার কারণে চলতি মৌসুমে নতুন করে খেলোয়াড় নিবন্ধন বা দলবদলে অংশ নিতে পারবে না কিংস। তবে ইতোমধ্যে নিবন্ধিত খেলোয়াড়দের নিয়ে লিগে খেলতে কোনো সমস্যা হবে না। বাংলাদেশ ফুটবল মৌসুম ২০২৫-২৬ এর দলবদল কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে। সামনে মিড-উইন্ডোতে যদি ক্লাব খেলোয়াড় বদল করতে চায়, তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে তা সম্ভব হবে না।
এখনও চার থেকে পাঁচ মাস সময় আছে কিংসের হাতে। প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেললে ফিফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে। না হলে মধ্যবর্তী দলবদলে খেলোয়াড় রদবদল করতে পারবে না দলটি।
ফিফার ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পাঁচটি নিষেধাজ্ঞার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটিই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিরুদ্ধে। গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তিনবার শাস্তির মুখে পড়ে তারা। যদিও চলতি মৌসুমে ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি করেছিল শেখ জামাল, শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্টের পর ফুটবল কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ায় ক্লাবটি।
ফিফার এই শাস্তি বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে আবারও আর্থিক শৃঙ্খলা ও চুক্তিপালনের গুরুত্ব নতুন করে সামনে এনেছে।
