ইংল্যান্ডের সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের ফুটবলার কিউবা মিচেলকে দলে টেনেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। আজ ছিল এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের জন্য খেলোয়াড় নিবন্ধনের শেষ দিন, ঠিক এই সময়েই ইংলিশ তরুণ তারকাকে নিবন্ধিত করেছে কিংস।
ক্লাবের সভাপতি ইমরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কিউবা মিচেল বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলবে। ৩-৪ দিনের মধ্যেই সে ঢাকায় চলে আসবে বলে আশা করছি।’
ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিউবা। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলো সাধারণত বয়সভিত্তিক পর্যায়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করে থাকে। তবে বসুন্ধরা কিংসের এই ইংলিশ ফুটবলারকে শুধুমাত্র ধারে আনেনি—এটা নিশ্চিত করেছেন ক্লাব সভাপতি নিজেই। ইমরুল হাসান বলেন, ‘ধারে নয়, সে পুরোপুরি কিংসের খেলোয়াড়।’
ইউরোপীয় ক্লাব থেকে খেলোয়াড় আনতে প্রায়ই রিলিজ ক্লজের বিপরীতে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হয়। যদিও মিচেলের ক্ষেত্রে বসুন্ধরা কিংস ঠিক কত অর্থ ব্যয় করেছে, সেটি স্পষ্ট করেনি।
ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিউবা মিচেল—এমন সিদ্ধান্ত ফুটবল অঙ্গনে স্বাভাবিকভাবেই বিস্ময় তৈরি করেছে। তবে তিনি ঢাকায় পা রাখলে পুরো প্রেক্ষাপট আরও স্পষ্ট হবে।
শুধু কিংসেই নয়, মিচেলকে ঘিরে আগ্রহ রয়েছে জাতীয় দলেও। জানা গেছে, তিনি আসন্ন এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে রয়েছেন। শিগগিরই অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্প শুরু হবে, তবে তার আগে ১২ আগস্ট বসুন্ধরা কিংসের এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ম্যাচ রয়েছে। তাই ঢাকায় পৌঁছানোর পর প্রথমে কিংসের ক্যাম্পেই যোগ দেবেন কিউবা। এরপর ক্লাবের আন্তর্জাতিক ম্যাচ শেষ করে জাতীয় দলে যোগ দেবেন কিংস ও আবাহনীর খেলোয়াড়রা।
মূলত কয়েক মাস ধরেই কিউবা মিচেলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। জাতীয় দলে খেলতে হলে যেসব কাগজপত্র দরকার-পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধনসহ সেসব দিক তত্ত্বাবধান করেছেন তিনিই। এমনকি কিউবার পরিবারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে কিংসের। সেই আস্থা, সম্পর্ক ও পরিকল্পনার ফসল হিসেবেই বাংলাদেশে পা রাখতে চলেছেন কিউবা মিচেল।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে- ইংল্যান্ডে সম্ভাবনাময় পথ ছেড়ে একজন তরুণ ফুটবলার কেন বাংলাদেশ লিগে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন? সময়ই হয়তো দেবে সেই প্রশ্নের উত্তর।
