বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছেন আরেক প্রবাসী ফুটবলার কিউবা মিচেল। ইংল্যান্ডের ক্লাব সান্দারল্যান্ডের অ্যাকাডেমি পেরিয়ে মূল দলে খেলা এই তরুণ ফরোয়ার্ড স্বপ্ন দেখছেন লাল-সবুজের জার্সিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার।
সান্দারল্যান্ডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ওঠার লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন কিউবা। তবে স্কোয়াডে রদবদলের কারণে আপাতত ছাড়তে হচ্ছে ক্লাবটি। এরই মধ্যে নতুন ক্লাব খুঁজছেন তিনি। ম্যাকেম নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “প্রাক-মৌসুমের আগেই নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে চাই। কিছু প্রস্তাব আছে, সেগুলো কাজে লাগাতে চাই।”
বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ প্রায় পেয়েই ফেলেছিলেন মিচেল। তবে সামান্য রেজিস্ট্রেশন জটিলতায় সেই অভিষেক পিছিয়ে গেছে অক্টোবর পর্যন্ত। এতে হতাশ নন বরং দারুণভাবে অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। “বাংলাদেশের হয়ে খেলা হবে আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। এমন সুযোগ খুব বেশি ফুটবলার পায় না,” বলেন মিচেল।
ইংল্যান্ড থেকেই বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলা হামজা চৌধুরীর সঙ্গেও আলাপ হয়েছে তার। হামজার অভিজ্ঞতা শুনে আরও উচ্ছ্বসিত মিচেল। “হামজার সঙ্গে প্লে-অফ ফাইনাল এবং বাংলাদেশে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা হয়েছে। ও বলেছে, বাংলাদেশে দারুণ সমর্থন মেলে। আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত,” জানান এই তরুণ ফুটবলার।
হামজা, সামিত, ফাহমিদুলদের পথ ধরে কিউবা মিচেলও হতে পারেন বাংলাদেশ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বড় সম্পদ। তার মতো তরুণ ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা জাতীয় দলের শক্তি বাড়াবে বলেই আশাবাদ ফুটবলপ্রেমীদের মনে।